রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নীতি ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমবায় খাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
‘বাংলাদেশ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশনের রোববার (২৭ নভেম্বর) ৩৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা’ অনুষ্ঠানের প্রক্কালে শনিবার দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
এ আয়োজনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি দেশের সমবায়ীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, সমবায়ের মূল ভিত্তি হলো একতা ও সহযোগিতা। কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য দূরীকরণে সমবায়ের ভূমিকা অপরিসীম। সেই গুরুত্ব অনুধাবন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমবায়কে মালিকানার ভিত্তিতে উন্নয়নের দ্বিতীয় খাত হিসেবে বাংলাদেশের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন।
আবদুল হামিদ বলেন, বঙ্গবন্ধু সমবায়ের মাধ্যমে সমাজ থেকে দারিদ্র্য ও বেকারত্ব দূর করে শোষণহীন সুখি-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন বহুমুখী সমবায় সমিতি গঠনে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, এ দেশের সমবায়ীদের ইতিহাস গৌরবোজ্জ্বল। সমবায় এ দেশের দরিদ্র, নিষ্পেষিত কৃষকদের মহাজনের করাল গ্রাস থেকে মুক্তি দিয়েছে; বিপ্লব ঘটিয়েছে কৃষিক্ষেত্রে। এছাড়াও গণশিক্ষা, বনায়ন, গৃহায়ণ, পরিবহন, দুগ্ধ উৎপাদন, জন্মনিয়ন্ত্রণ নীতি, মৎস্য চাষ, সমবায় বাজার স্থাপন প্রভৃতি ক্ষেত্রে সমবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার কৃষি তথা দেশের উন্নয়নে সমবায় খাতকে উত্তরোত্তর পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে এবং ভবিষ্যতেও সর্বাত্মক সহায়তাদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, বার্ষিক সাধারণ সভায় সমবায়ী নেতারা সমবায় অঙ্গনের বহুমুখী কার্যক্রম নিয়ে পারস্পরিক আলোচনা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করে সমবায় আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে সক্ষম হবেন।
রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশনের ৩৫তম বার্ষিক সাধারণ সভার সাফল্য কামনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:০৫:৫১ ২৭৩ বার পঠিত