
নব্বইয়ের স্বৈরচারবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার।
আজ সকাল আটটায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও সাড়ে আটটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপিত শহীদ ডা. মিলনের স্মৃতিসৌধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ নেতৃত্বে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।
পরে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, যারা চক্রান্তকারী, যারা উন্নয়ন চায় না, যারা গণতন্ত্রকে ভূলুণ্ঠিত করতে চায়- তাদের রুখতে প্রগতিশীল সকল চিন্তা ধারার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থেকে লড়াই করে যেতে হবে। যে কোনো মূল্যে দেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
গণতান্ত্রিক ধারা যেন ব্যাহত না হয়- সেদিকে নজর রাখতে হবে এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ডা. মিলনের স্বপ্নের গণতন্ত্র বাংলাদেশে বজায় থাকুক। আজকের দিনের শপথ হোক কোন ভাবেই যেন এদেশ গণতন্ত্র ভূলন্ঠিত না হয়। শহীদ ডা. মিলন নিজের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে এদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন।’
উপাচার্য বলেন, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আমরা স্বৈরচারবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলাম। তখন গণবিরোধী স্বাস্থ্যনীতি প্রতিবাদে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. কবির স্যারের নেতৃত্বে জাতীয় প্রেসক্লাবে গিয়ে আমরা অনেকেই পদত্যাগ করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো: হাবিবুর রহমান দুলাল, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন শাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বত্রিশ বছর আগে এই দিনে বিএমএ তৎকালীন মহাসচিব ডা.মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও ডা. মিলন একই রিক্সায় করে ফিরছিলেন। এসময় তাদের উপর হামলা হয়। এই ঘটনায় ডা. মিলন শহীদ হন।
বাংলাদেশ সময়: ২০:৫১:৪০ ২৯১ বার পঠিত