বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেছেন, উন্নয়ন ও অগ্রগতির সঙ্গে বিজ্ঞান ও গবেষণায় সরকার যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ জন্য নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে গবেষণা খাতে অর্থ বরাদ্দে কোনো কার্পণ্য করা হচ্ছে না।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিসিএসআইআর মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী বিজ্ঞানবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে এবং বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
আমি আশা করি, বিজ্ঞান সম্মেলনের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা পরস্পরের সঙ্গে প্রযুক্তিজ্ঞান বিনিময় করার সুযোগ পাচ্ছেন। যে অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কোন কোন ক্ষেত্রে আমাদের নজর দিতে হবে তার দিকনির্দেশনা দেবে। ’
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রযুক্তির পরিমিত প্রয়োগ ও ব্যবহারের ওপর আমাদের গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন। প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি এর নেতিবাচক দিক সম্পর্কেও জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। ’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিসিএসআইআরের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আফতাব আলী শেখ বলেন, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের আলোকে বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণার ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করার লক্ষ্যে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, চীন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ওমান, ভারতসহ বিশ্বের ১১টির বেশি দেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকদের নিয়ে এবারের আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সম্মেলন-২০২২ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ’
তিনি আরো বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং ২১০০ সালের ডেলটা প্ল্যানের আলোকে বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে যেসব ক্ষেতে নতুন নতুন টেকসই উদ্ভাবন ও গবেষণার প্রয়োজন, তা নির্ধারণে এ সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিসিএসআইআর আয়োজিত এবারের বিজ্ঞান সম্মেলনে ১৮টি প্ল্যানারি লেকচার, ৬০টি কিনোট পেপার ও ইনভাইটেড লেকচার, ৩৩০টি বিষয়ভিত্তিক প্রেজেন্টেশন ও ২০৩টি পোস্টার প্রেজেন্টেশন প্রদর্শন করা হচ্ছে। পাশাপাশি ৮৪৮টি অ্যাবস্ট্রাক্ট গ্রহণ করা হয়।
এবারের সম্মেলনে থিম লেকচার প্রদান করেছেন বাংলাদেশ এক্রিডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ এবং প্ল্যানারি সেশনে বিশেষ ভাষণ দিয়েছেন ভারতের সিএসআইআরের ডিজি ড. নাল্লা থামবি কালাই সেলভি। তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন শেষ হবে আগামী শনিবার।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩১:৩৩ ২৩৫ বার পঠিত