বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা দল ইংল্যান্ড। কিন্তু এই প্রজন্মের কারোরই বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিতে চুমু দেওয়া হয়নি। সেই ১৯৬৬ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপের ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল ইংরেজরা। এরপর ৫৬ বছর পেরিয়ে গেলেও ফাইনালেই উঠতে পারেনি তারা। তবে এবার কাতার বিশ্বকাপে উড়ছে হ্যারি কেইনের দল। গ্রুপ পর্বে আনবিটেন দলটি এবার বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদার। শেষ ষোলো থেকে আফ্রিকার দেশ সেনেগালকে ৩-০ গোলে বিদায় করে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেছে গ্যারাথ সাউথগেটের দল।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) দোহার আল বায়েত স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই সেনেগালের রক্ষণে চাপ সৃষ্টি করে খেলতে থাকে ইংল্যান্ড। তবে তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না কেইনরা। ফলে সুযোগ পেয়ে সেনেগাল পাল্টা আক্রমণ চালায়। আফ্রিকার দলটির তারকা ফরোয়ার্ড ইসমাইল সারে বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ পেলেও গোল আদায় করতে পারেননি।
তবে ব্যাকফুটে গিয়েও সেনেগালের রক্ষণে চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করে ইংলিশ শিবির। যার ফলও তারা পেয়ে যায় প্রথমার্ধের বিরতির আগেই। ৩৮ তম মিনিটে দলকে প্রথম লিড এনে দেন জর্ডান হেন্ডারসন। মাঝ মাঠ থেকে দারুণ এক কাউন্টার অ্যাটাকে বেলিংহ্যামের বাড়ানো বল থেকে গোল করেন লিভারপুল অধিনায়ক হেন্ডারসন।
এরপর প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে বিরতির বাঁশি বাজার ঠিক আগ মুহূর্তে জালের দেখা পান ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইন। ফিল ফোডেনের পাস থেকে বিশ্বকাপের মঞ্চে ৭ নম্বর গোল করেন ইংলিশ অধিনায়ক। ফলে ২-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড।
বিরতি থেকে ফিরে হাই প্রেসিং ফুটবল খেলতে থাকে ইংলিশরা। যার ফলে ম্যাচের ৫৭ মিনিটে গোলের দেখা পান আর্সেনাল তারকা সাকা। কাউন্টার অ্যাটাকে বাম পাশ থেকে ফোডেনের ক্রসে দারুণ এক গোল করেন সাকা। এটি তার এবারের বিশ্বকাপের তৃতীয় গোল।
৩-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে সেনেগাল। তবে গোলের দেখা পাচ্ছিলেন না তারা। ৭৫ মিনিটে একটি ফ্রি কিক পায় সেনেগাল। তবে ইসমাইল সারের ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া শট রুখে দেন ইংলিশ গোলকিপার পিকফোর্ড। শেষদিকে আরও কয়েকটি সুযোগ তৈরি হলেও গোল করতে ব্যর্থ হয় সেনেগালের ফরোয়ার্ডরা।
ফলে ৩-০ গোলে জিতে এবারের বিশ্বকাপের কোয়ার্টারে উঠে যায় ইংল্যান্ড। আর ইনজুরিতে খেলতে না পারা সাদিও মানের দল বিদায় নেয় বিশ্বকাপ থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:১৩:৫৪ ২০৪ বার পঠিত