ভারতীয় হাইকমিশন আজ ঢাকায় মৈত্রী দিবসের ৫১তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার দশ দিন আগে ১৯৭১ সালের এই দিনেই ভারত স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
২০২১ সালের মার্চে মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬ ডিসেম্বরকে মৈত্রী দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেন।
এ উপলক্ষে আজ সন্ধ্যায় ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন এক সংবর্ধনা ও সংগীত সন্ধ্যার আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ভারত-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের গত ৫১ বছরের অর্জন এবং ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলন ঘটানোর সুযোগ হিসেবে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরেন।
তিনি ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বকে ১৯৭১ সালের যৌথ আত্মত্যাগের মূলে নিহিত এবং ইতিহাস, ভাষা ও সংস্কৃতির দৃঢ় বন্ধনের দ্বারা প্রতিপালিত বলে বর্ণনা করেন।
গত ৫০ বছরে উভয় দেশই গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে উল্লেখ করে তিনি জোর দিয়ে বলেন, তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন এই ইতিহাস বুঝতে পারে এবং ১৯৭১ সালের উত্তরাধিকার সংরক্ষণ করে তা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয় এবং সর্বদা বৃহত্তর সমৃদ্ধি ও সাফল্যের পথে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে একসাথে হাঁটতে প্রস্তুত থাকবে।
তিনি উভয় দেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বকে আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন যা ভাগ করা মূল্যবোধ, সংস্কৃতি এবং নীতি এবং পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়ার উপর ভিত্তি করে।
ভারতীয় ও বাংলাদেশী সাংস্কৃতিক দলের বর্ণাঢ্য পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।
অনেক মুক্তিযোদ্ধার পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও শিল্পের নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যম, শিক্ষাবিদ এবং সুশীল সমাজও এই উদযাপনে যোগ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৮:৩০ ২০২ বার পঠিত