জেলা প্রশাসন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের যৌথ আয়োজনে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আজ সকাল ১০টায় শেরপুর পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে।
মুক্ত দিবস উপলক্ষে শেরপুর চকবাজারস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালিতে পুলিশের চৌকস বাদ্য দল ও রোলার স্কেটিং ক্লাবের সদস্যরা।
পরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পন করে সেখানেই এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভায় অংশ নেন- সরকার দলীয় হুইপ আতিউর রহমান আতিক, জেলা প্রাশাসক সাহেলা আক্তার, পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পালসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
বক্তারা জানান- ১৯৭১ সালের এ দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সহায়তায় বাংলার সূর্যসন্তান মুক্তিযোদ্ধারা শেরপুর অঞ্চলকে শত্রু মুক্ত করেন।
এদিন ভারতীয় সেনা বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার ও মিত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা হেলিকপ্টারযোগে শেরপুর শহীদ দারোগা আলী পৌরপার্ক মাঠে অবতরণ করেন। এ সময় শেরপুরের মুক্তিকামী ছাত্রজনতা জেনারেল অরোরাকে এক সংবর্ধনা দেন। তিনি সংবর্ধনা সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে শেরপুরকে হানাদারমুক্ত বলে ঘোষণা দেন।
মুক্ত শেরপুরে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন তৎকালীন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন আজিজ (তার বাড়ি জামালপুর জেলার নান্দিনা)। পতাকা উত্তোলনের সময় উপস্থিত জনতা জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:২১:০৩ ২৪৫ বার পঠিত