নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর মধ্যরাতে রাজধানীর প্রবেশপথে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়।
বুধবার মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) ভোর পর্যন্ত গাবতলীতে তল্লাশিচৌকিতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বাড়তি পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চল থেকেও রাজধানীতে আসা দূরপাল্লার পরিবহনগুলো থামিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। যাত্রীদের সঙ্গে থাকা ব্যাগ পরীক্ষা করে দেখেন তারা। জানতে চাওয়া হয় যাত্রীদের নাম, ঠিকানা এবং ঢাকার আসার কারণও। বাদ যাননি বাসচালক ও হেলপাররাও।
এদিকে সারা দেশে গত ১ ডিসেম্বর থেকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসছে পুলিশ, যা চলবে আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ ছাড়া ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
তবে গাবতলীতে পরিচালিত চেকপোস্টটি বিশেষ কোনো উদ্দেশ্য পরিচালিত হচ্ছে না বলে জানিয়েছে পুলিশ। তারা বলছে, এটি একটি রুটিন চেকপোস্ট যা সারা বছর কার্যকর থাকে।
এ বিষয়ে ডিএমপির দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, গাবতলী এলাকার চেকপোস্ট অনেক আগে থেকেই। রুটিন ওয়ার্ক হিসেবে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেকপোস্টে ঢাকায় আসা গাড়িগুলোকে অনেক সময় তল্লাশি করা হয়ে থাকে। চেকপোস্টে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০:১২:৫৫ ১৯৯ বার পঠিত #রাজধানী