পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, স্বাধীনতাত্তোর যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা পুনর্গঠনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। রূপকল্প- ২০২১ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় রূপকল্প- ২০৪১ এর লক্ষ্য অর্জনের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জাতীয় শিক্ষানীতি, ২০১০ প্রণয়ন করেছে।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আজ বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার সেরালে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, শিক্ষা জাতির সার্বিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির চাবিকাঠি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ ও দেশকে এগিয়ে নিতে মানসম্মত শিক্ষাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। ১৯৭২ সালের সংবিধানে ‘রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি’ অংশে শিক্ষার কথা বলা হয়েছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে ড. কুদরত ই-খুদাকে সভাপতি করে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। ১৯৭৩ সালে ভঙ্গুর অর্থনীতির মধ্যেও বঙ্গবন্ধু দেশের দরিদ্র প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সন্তানদের জন্য শিক্ষার সমাধিকার নিশ্চিত করেন।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, শিক্ষক ও কর্মচারীদেরকে সরকারের বিদ্যমান সুযোগ সুবিধা কাজে লাগিয়ে মানসম্মত শিক্ষাদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক সমস্যাবলি সমাধানে সাহায়তার আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:১৯:২৭ ৩৭৮ বার পঠিত