মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘নির্বাচন প্রতিহতের নামে অসাংবিধানিক পন্থায় রাজনীতি করছে বিএনপি। ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিহত করার নামে তারা সারা দেশে পাঁচ হাজারের ঊর্ধ্বে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দিয়েছিল। জনবিপরীতমুখী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখলে একসময় তাদের অস্তিত্বের সংকট দেখা দিতে পারে অথবা তারা গণদুষমনে পরিণত হবে। ’
আজ রবিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা, গুণীজন সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত সভায় সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল দৈনিক ভোরের আকাশ।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে উল্টে দেওয়ার প্রক্রিয়ার কুশীলব শুধু নয়, সমস্ত নাটের গুরু জিয়াউর রহমান। দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে মৌলবাদের পুনঃপ্রতিষ্ঠা ঘটিয়েছেন তিনি। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে পেট্রলের বার্ন ইউনিটে পরিণত করতে চেয়েছে তার প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি। ’
তিনি আরো বলেন, ‘একাত্তরের মানবাতাবিরোধী অপরাধী গোলাম আযমকে নানা অজুহাতে পাকিস্তানি পাসপোর্ট দিয়ে বাংলাদেশে রাখার সুযোগ করে দিয়েছেন জিয়া। স্বাধীনতাবিরোধী মশিউর রহমান যাদু মিয়াকে জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী করেছেন তিনি। জয়পুরহাটের নরখাদক আব্দুল আলীমকে মন্ত্রী করেছেন জিয়াউর রহমান। কী করেন নাই তিনি বাংলাদেশে?’
‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এই দুটি শব্দ অবিচ্ছেদ্য’ উল্লেখ করে রেজাউল করিম বলেন, ‘তার কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা, চিকিৎসা ও বাসস্থান নিশ্চিত করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তিনি সবার অধিকার নিশ্চিত করে চলছেন। কিন্তু বিজয়ের মাসেই পরাজিত শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এই শক্তিকে নির্মূল করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে শাণিত করতে হবে। ’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নেত্রকোনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল বলেন, ‘জয় বাংলা স্লোগান আমাদের জাতীয় ঐক্য ও সংহতির প্রতীক। স্বাধীনতার ৫০ বছর পার করার পরও কেউ কেউ জয় বাংলা স্লোগান দিলে হুমকি দেয়। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতীয় উন্নয়নে যে মিছিল সেই মিছিলে যুক্ত হয়ে স্বাধীনতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ’
অনুষ্ঠানে তিন গুণী রত্নগর্ভাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের মা অ্যাডভোকেট কামরুন নাহার বেগম, নাট্যজন লাকী ইনাম ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন।
ভোরের আকাশের সম্পাদক মনোরঞ্জন ঘোষালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:৩৭:৪৩ ২৪৬ বার পঠিত