চীনে আবারও বেড়েছে করোনার সংক্রমণ। এতে সাধারণ নাগরিকদের চলাচলে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে শি জিনপিং প্রশাসন। বন্ধ রাখা হয়েছে বেশকিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। হাসপাতালগুলোতে তৈরি করা হয়েছে বিশেষ বিভাগ।
জিরো কোভিড নীতি পুরোপুরি শিথিল করতে না করতেই চীনে আবারও চোখ রাঙাতে শুরু করেছে ভয়াবহ এ ভাইরাস। সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, রাজধানী বেইজিংসহ চীনের বেশ কয়েকটি প্রদেশে সংক্রমণ বেড়েছে। এর মধ্যে গত শনিবার (১০ ডিসেম্বর) একদিনেই দেড় হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়।
এমন অবস্থায় নতুন করে মানুষের চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করেছে সরকার। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও। সংক্রমণ রোধে সাংহাইয়ের হাসপাতালগুলোতে অন্য রোগীদের জন্য বিশেষ বিভাগ খুলেছে কর্তৃপক্ষ। করোনা আক্রান্তদের জন্য অনলাইনেও চিকিৎসাসেবা বাড়ানো হয়েছে। বেইজিংয়ে জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য আলাদা ক্লিনিকও তৈরি করা হয়েছে।
দেশটির মহামারি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে চীনে ওমিক্রনের মিউটেশন অত্যন্ত সংক্রামক রূপ ধারণ করেছে। একজনের দেহে থাকা ভাইরাস কমপক্ষে ২২ জনকে সংক্রমিত করতে পারে। এ পরিস্থিতিতে যতই কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হোক না কেন, সংক্রমণের ধারাবাহিকতা ঠেকানো কঠিন হবে।
কয়েক দিন আগেই ভাইরাসটির সংক্রমণ কমাতে শি জিনপিং সরকারের নেয়া জিরো কোভিড নীতির সমালোচনা করে বিক্ষোভ করেন দেশটির সাধারণ মানুষ। তীব্র বিক্ষোভের মুখে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। কিন্তু এর মধ্যেই চীনের বিভিন্ন প্রদেশে নতুন করে সংক্রমণ বাড়ার খবর মিলছে।
২০১৯ সালে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। পরে বিশ্বব্যাপী তাণ্ডব চালায় ভাইরাসটি। মাঝে কিছু সময় চীনের সংক্রমণ কমলেও, এখন আবার তা বাড়ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০:১২:০৩ ১৯৮ বার পঠিত