মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি ছিল না উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, গত ১৪ ডিসেম্বর সেখানে আমাদের পুলিশ বাহিনী ছিল। পুলিশ বাহিনী যখনই শুনেছে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সেখানে যাচ্ছেন, পুলিশের কর্তব্য হয়ে গিয়েছিল সেখানে যাওয়ার। খবর শোনার পর স্থানীয় থানার ওসি ড্রেস না পরেই সেখানে দৌড়ে গিয়েছেন। সেখানে তার নিরাপত্তার কোনো অভাব ঘটেছে বলে কোনো রিপোর্ট আমার কাছে আসেনি।
আজ রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইন শৃঙ্খলা’ সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির ষষ্ঠ সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত যে একটি বাড়িতে গিয়েছিলেন, সেই তথ্য কিভাবে ফাঁস হলো আমরা জানি না। তার অফিস থেকেও ফাঁস হতে পারে। সেখানে কিভাবে খবর পেয়ে কিছু লোক তাদের একটা দাবি নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে আমাদের পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এত শক্ত যে প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে বিট পুলিশ রয়েছে।
তিনি বলেছেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত ওখানে (ঢাকার শাহীনবাগের একটি বাসা) যাবেন তা আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জানানো উচিত ছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানে না, আমরাও জানি না। জানার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি সিভিল ড্রেসে সেখানে ছুটে গিয়েছিলেন।
এ সময় বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর ভেতরে ও বাইরে যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে, সেগুলো যাতে আর না ঘটে সেজন্য আমরা গোয়েন্দাদের নজরদারি বাড়াতে বলেছি। এ ছাড়া সেখানকার ক্যাম্পগুলোকে কেন্দ্র করে যে অপরাধীদের নেটওয়ার্ক ঘরে উঠেছে সেগুলো নজরদারি করার জন্য আমরা একটা কমিটি করে দিয়েছি। সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারের জন্য ইতোমধ্যে ক্যাম্পগুলোতে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের নেতা, যাদের মাঝি বলা হয় তাদের অনেককে হত্যার দৃশ্য আমরা ইতোমধ্যে দেখেছি। এ বিষয়ে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে আরো সতর্ক অবস্থানে থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।
সভায় দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুল হকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৪৮:৩০ ১৮৪ বার পঠিত