তৃতীয় দিন শেষেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল করাচি টেস্টেও হারের মুখ দেখছে পাকিস্তান। শুধু দেখার ছিল, ইংল্যান্ড জয় পেতে কতটা সময় নেয়। চতুর্থ দিনে খেলা শুরুর মাত্র ৩৮ মিনিট আর ৬৭ বল খরচ করেই জয় পেয়ে যায় ইংল্যান্ড। তাতে নিজেদের মাটিতে প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশের লজ্জা বরণ করতে হল পাকিস্তানকে। টানা চার টেস্ট হেরে লজ্জার রেকর্ডে বাংলাদেশের সঙ্গী হল পাকিস্তান।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) করাচি টেস্টের চতুর্থ দিনে ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৫৫ রান। অন্যদিকে পাকিস্তানের দরকার ছিল ৮ উইকেট। তবে বেন ডাকেট ও বেন স্টোকস মিলে মাত্র ৬৭ বল খরচ করেই জয় এনে দিয়েছেন ইংল্যান্ডকে। ৮ উইকেটের এই হারে নিজেদের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ হতে হলো বাবর আজমের দলকে। নিজেদের মাটিতে এই নিয়ে টানা চার টেস্টে হারের মুখ দেখল পাকিস্তান। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এমন রেকর্ড আছে শুধু বাংলাদেশের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টানা তিন টেস্ট হারার আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও হেরেছিল পাকিস্তান।
বাংলাদেশ ২০০১ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত ঘরের মাঠে টানা ১৩ টেস্টে হারের মুখ দেখেছিল। ঘরের মাঠে টানা ৪ টেস্ট হারার অভিজ্ঞতা অবশ্য বাংলাদেশের হয়েছে চারবার।
করাচি টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাবর আজমের ৭৮ ও আগা সালমানের ৫৬ রানে ভর করে ৩০৪ রান করে পাকিস্তান। জবাবে হ্যারি ব্রুকের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ৫০ রানের লিড পায় ইংল্যান্ড।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরুর পরও জ্যাক লিচ ও রেহান আহমেদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ২১৬ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস। অধিনায়ক বাবর আজম ৫৪ ও সাউদ শাকিল করেন ৫৩ রান। ইংল্যান্ডের হয়ে এই টেস্টেই অভিষিক্ত স্পিনার রেহান আহমেদ সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেকে ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েন। প্রথম ইনিংসেও ২ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। চতুর্থ ইনিংসে ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬৭ রান।
ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ওয়ানডে স্ট্যাইলে রান তুলতে থাকেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জ্যাক ক্রাউলি ও বেন ডাকেট। তবে দলীয় ৮৭ রানে আবরার আহমেদের শিকারে পরিণত হন ৪১ রান করা ক্রাউলি। শেষবেলায় নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা রেহান আহমেদ ফেরেন ১০ রান করে। তার উইকেটটিও নেন রেহান আহমেদ। ২ উইকেটে ১১২ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করে ইংল্যান্ড।
চতুর্থ দিনে প্রথম সেশনেই আর কোন উইকেট না হারিয়েই প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ইংল্যান্ড। ডাকেট অপরাজিত থাকেন ৮২ রান। স্টোকস করেন ৩৫ রান।
প্রথম ইনংসে ১১১ রান করা হ্যারি ব্রুক হয়েছেন ম্যাচসেরা। ৩ টেস্টে ৪৬৮ রান নিয়ে সিরিজসেরাও তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:১৮:১৯ ১৮৫ বার পঠিত