‘জয় বাংলা’ ছিল আমাদের একমাত্র অস্ত্র: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » ‘জয় বাংলা’ ছিল আমাদের একমাত্র অস্ত্র: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২২



‘জয় বাংলা’ ছিল আমাদের একমাত্র অস্ত্র: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানই ছিল আমাদের একমাত্র হাতিয়ার ও অস্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের কাছে যুদ্ধের শুরুতে অস্ত্র ছিল না, আমাদের কাছে একটা জিনিসই ছিল, তা হলো ‘জয় বাংলা’ স্লোগান। এটাই আমাদের একমাত্র হাতিয়ার, একমাত্র অস্ত্র।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধের সময় যে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলাম সেই স্লোগানকে জাতীয় স্লোগান করার দাবি ছিল আমাদের। সেটি আজ বাস্তবায়ন হয়েছে। জয় বাংলা আমাদের সবার স্লোগান, বিজয়ের স্লোগান।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা কোনো কিছুকেই ভয় করতাম না। যুদ্ধের সময় লাশ দেখতাম, বন্ধুরা আহত হতেন চোখের সামনে। তারপরও আমরা যুদ্ধ চালিয়ে গেছি। এত সহজে তো দেশ স্বাধীন হয়নি। আমাদের হাঁটা ছাড়া আর কোনো সুযোগ ছিল না। আমাদের খাওয়ার ঠিক নেই। ঘুমের ঠিক নেই। তারপরও আমরা দেশের জন্য যুদ্ধ করে গিয়েছিলাম।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী ২০ বছর পর হয়তো টাকা দিয়ে অনুষ্ঠান করেও মুক্তিযোদ্ধা খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই তারা বেঁচে থাকতেই তাদের সম্মান দেয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করেন।

২০ হাজার টাকা প্রতি মাসে মুক্তিযোদ্ধারা ভাতা পান মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, প্রতি মাসের ১ তারিখেই মুক্তিযোদ্ধাদের ২০ হাজার টাকা করে ভাতা দেয়া হয়। এমনকি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা আরও বেশি।

তিনি বলেন, শুধু ভাতা নয় মুক্তিযোদ্ধাদের ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

মুক্তিযোদ্ধারা সম্মানিত হলেই দেশ সম্মানিত হয় মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা একত্রিত হয়ে দেশকে স্বাধীন করেছে। তারা সম্মানিত হলেই দেশ সম্মানিত হয়।

বঙ্গবন্ধু দেশকে সুসংগঠিত করেই স্বাধীনতার ঘোষণা দেন মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে আগে দেশকে সুসংগঠিত করেছেন। তারপর স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। আর তাই সবার প্রচেষ্টায় এই দেশ স্বাধীনতার স্বাদ পায়।

শেখ হাসিনার সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষের সরকার মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের এমন কোনো প্রত্যন্ত অঞ্চল নেই যেখানে আমি যাইনি। আমি হবিগঞ্জে গিয়ে দেখলাম সেখানে আমাদের বর্ডার এরিয়ায় অনেক মুক্তিযোদ্ধার কবর রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেই কবরগুলো চিহ্নিত করে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, যত দিন শেখ হাসিনা বেঁচে থাকবে, তত দিন এই দেশ আলোকিত থাকবে। অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে না। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা আপনার পাশে আছি।

অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:১৪:০৭   ২৩৯ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো সংস্কার অর্থবহ হবে না: মির্জা ফখরুল
মৎস্যজীবী ও মৎস্য খাত চরম বৈষম্যের শিকার : উপদেষ্টা
সকল ভালো কাজের সাথে মুসলিম একাডেমী পাশে থাকবে: তৈমুর
তথ্য-প্রযুক্তি খাত উন্নয়নে সমন্বিত পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন জরুরি : ডিসিসিআই
ভিনিসিয়ুসের হ্যাটট্রিকে বড় জয় রিয়াল মাদ্রিদের
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বন্যপ্রাণী শিকার ও পাচার বন্ধ করতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
পুলিশকে মানবিক হিসেবে গড়ে তুলতে একটি স্বাধীন কমিশন গঠন অপরিহার্য: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
বাস ভাড়া কমাতে নারায়ণগঞ্জে মশাল মিছিল, হরতালের হুঁশিয়ারি
দ্রুত সংস্কার শেষে জাতি তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি দেখতে চায় : আমীর খসরু
মার্কিন চাপে হামাস নেতাদের দোহা ছাড়ার নির্দেশ কাতারের

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ