মোস্তাফিজার রহমান রংপুর প্রতিনিধি : গাইবান্ধা ২০০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে জনবল থাকলেও ৫ বছর ধরে বন্ধ এক্সরে ইউনিট। দীর্ঘদিন থেকে মেশিনগুলো বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবা নিতে আসা রোগীরা। সরকারি হাসপাতালে সেবা না পেয়ে তারা বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে এক্সরে করাতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে তাদের টাকা যেমন বেশি গুনতে হচ্ছে, তেমনি সময়ও যাচ্ছে দ্বিগুণ।
কয়েক লাখ মানুষের চিকিৎসার ভরসাস্থল গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন কয়েক শতাধিক রোগী আসে এ হাসপাতালে। দীর্ঘদিন ধরে এক্সরে মেশিন বন্ধ থাকায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগীরা। বাধ্য হয়ে এক্সরে সহ বিভিন্ন পরীক্ষা করতে রোগীরা যাচ্ছেন বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে।
জানা যায়, হাসপাতালে ছোট বড় ৫টি এক্সরে মেশিন থাকলেও পর্যায়ক্রমে সেগুলো ২০১৭ সাল থেকে বন্ধ। আর আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন নষ্টের অজুহাতে অনিয়মিতভাবে চলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজন মাহমুদ হাসান অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালের এক্সরে ইউনিটের সক্রিয় একটি চক্র বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর সঙ্গে কমিশন বাণিজ্যের মাধ্যমে সরকারি এসব মেশিন কৌশলে নষ্ট করে দিচ্ছেন। এ চক্রে হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক জড়িত আছেন বলে তিনি দাবি করেন।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগী মো. মামুন মিয়া বলেন, ‘এক্সরে পরীক্ষার যন্ত্র নষ্ট হওয়ার সুবিধা নিয়ে এক শ্রেণির দালাল বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে রোগীদের নিয়ে গিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা।’
গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফজলুল বারী বলেন, ‘অসংখ্য রোগী এক্সরে সহ বিভিন্ন পরীক্ষা করাতে না পেরে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তবে জনবল থাকলেও মেশিন না থাকায় আমরা অলস সময় পার করছি।’
এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. বিশ্বেস্বর বলেন, ‘একাধিকবার চিঠি দিয়েও এক্সরে মেশিনগুলো সচল করা যাচ্ছে না। সরকারি সংস্থা নিমিউওকে পাঠানো হয়েছে একাধিকবার চাহিদা পত্র।’
বাংলাদেশ সময়: ১৬:২২:৩২ ২৩১ বার পঠিত