ধর্মীয় উৎসব ও খ্রীস্টীয় যাবতীয় আচারনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে জেলার ৫টি উপজেলার খ্রীস্টান পল্লীতে উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হচ্ছে বড়দিনের নানান আয়োজন।
খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে চলছে নানা আয়োজন, গীর্জাগুলোকে আকর্ষণীয় নানান রঙে সাজাঁনো হয়েছে, করা হয়েছে বর্ণাঢ্য আলোকসজ্জা।
এবার অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশেই বড়দিন উদযাপন করছে খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বীরা। শিশুরা মেতে উঠেছে বড়দিনের আনন্দে।
গোপালগঞ্জে খ্রীস্টান ফেলোশিপের সভাপতি সম্যুয়েল এস বালা বাসসকে বলেন, গোপালগঞ্জে উৎসবমুখর পরিবেশে বড়দিন উদযাপিত হচ্ছে। ইতোমেধ্যে গীর্জাগুলো বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। করা হয়েছে আলোকসজ্জা।
তিনি আরও জানান, এছাড়া বিভিন্ন মন্ডলীর পক্ষ থেকে ১৬ ডিসেম্বর থেকে বের করা হচ্ছে নগর কীর্ত্তণ। খ্রীস্টান বাড়িতে ক্রিসমাসট্রি সাজানো হয়েছে। টানানো হয়েছে বড়দিনের তারা। খ্রীস্টান বাড়ি ও গীর্জায় এখন সাজ সাজ রব। বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ।
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বানিয়ারচর ক্যাথলিক গীর্জার ফাদার ডেভিড ঘরামী বলেন, যীশুখ্রীস্টের জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর আমাদের কাছে একটি মহাপবিত্র দিন। ২৪ ডিসেম্বর রাত ৯ টা থেকে বড় দিনের প্রার্থনা শুরু হয়। চলে রাত ১টা পর্যন্ত। ২৫ ডিসেম্বর সকাল ৯ টায় প্রার্থনা শুরু হয়েছে। এতে প্রায় দুই হাজার খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ দুপুরে প্রীতিভোজে অংশ নেয়।
বিকেলে সুধীজনের সাথে বড়দিনের মহিমা ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
বড়দিন উদযাপনের জন্য অংশ গ্রহণকারীদের খাদ্যসহ অন্যান্য প্রয়োজন মেটাতে গীর্জা প্রতি ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। বড়দিন উদযাপনে গোপালগঞ্জে ৮১.৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০:০৮:৪৪ ২২৪ বার পঠিত