মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠানে সার্বিক নিরাপত্তায় সবাইকে দায়িত্ব পালন করার জন্য আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিশ্ব ইজতেমায় আগত দেশী বিদেশী মুসল্লিদের নিরাপত্তায় সরকারের আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্ব ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শান্তিপূর্ণভাবে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হবে।
আজ সোমবার টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব ইজতেমা-২০২৩ এর সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে এক সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী ১৩, ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি প্রথম পর্ব এবং ৪ দিন বিরতি দিয়ে ২০, ২১ ও ২২ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্বে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। ১৯৬৭ সাল থেকে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।
আকম মোজাম্মেল হক, তুরাগ নদীতে মুসুল্লী পারপারের জন্য সেনাবাহিনীকে মুরুব্বীদের চাহিদা অনুযায়ী ৮টি পল্টুন ব্রীজ নির্মাণ করে দেয়ার অনুরোধ করেন।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, কোভিড সংক্রমণ এখনও শেষ হয়নি। চীন ও ভারতে করোনা সংক্রমণ আবার বাড়ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই মুসুল্লীসহ সকলকে ইজতেমায় অংশগ্রহণ করার আহবান জানান তিনি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আজমত উল্লাহ খাঁন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরন, প্যানেল মেয়র আবদুল আলীম ও তাবলীগ জামাতের দু’পক্ষের মুরব্বী প্রকৌশলী মেজবাহ উদ্দিন, মুফতি আমান উল্লাহ, ড. আবদুস সালাম, প্রকৌশলী মো. মহিবুল্লাহ, মাওলানা আবদুল্লাহ মনসুর প্র্রমুখ।
সভায় গাজীপুর জেলা প্রশাসন, সেনা কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থা, হাইওয়ে পুলিশ, গাজীপুর সিভিল সার্জন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন, ডেসকো, তিতাস গ্যাস, ওয়াসা, বিআরটি, ফায়ার সার্ভিস, জনস্বাস্থ্য বিভাগসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিগণ সভায় উপস্থিত থেকে তাদের মতামত এবং পরামর্শ উপস্থাপন করেন।
জিএমপি কমিশনার বলেন, ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তায় সাড়ে ৭ হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে। সিসি টিভি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ার ও রুফটপ থেকে পুরো ইজতেমা ময়দানের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়াও স্পেশালাইডজ টিমসহ প্রতিটি স্তরে সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন। অগ্নি নির্বাপনের জন্য প্রতি স্তরে এবার দুটি করে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রাখা হবে। তুরাগে নৌ-টহল থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৪৩:৫০ ২৬০ বার পঠিত