ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। রাশিয়ান সংবাদমাধ্যম আরটি জানায়, মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।
এ সময় ল্যাভরভ বলেছেন, ইইউ প্রশ্নাতীতভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অনুসরণ করে মস্কোর বিরুদ্ধে একটি ‘হাইব্রিড যুদ্ধ’ ঘোষণা করেছে। ব্রাসেলসের নীতি শুধু ইইউ নাগরিকদের স্বার্থ ও মঙ্গলকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, আমাদের কোনো সমস্যা হয়নি।
ওয়াশিংটনকে মস্কোর সঙ্গে জ্বালানি নিয়ে আলোচনা করতে ইইউ দেশগুলোকে বাধা দেওয়ার অভিযোগও করেছেন ল্যাভরভ। যদিও রাশিয়ার জ্বালানি সরবরাহ কয়েক দশক ধরে ইউরোপকে অভূতপূর্ব সমৃদ্ধি দিয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
ল্যাভরভ বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে রাশিয়া আর স্বাভাবিকভাবে বাণিজ্য সম্পর্ক রাখবে না। ল্যাভরভ উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, প্রাচীরের সঙ্গে মাথা ঠোকানোর কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই। বরং ইউরোপের বাইরের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরিতে রাশিয়া আরও যত্নবান হবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
ল্যাভরভ জানান, মস্কো ভবিষ্যতে আরও ‘বাস্তববাদী’ ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে প্রস্তুত। তিনি বলেন, যদি কিছু রাজনীতিবিদ ইউরোপে নিজেদের প্রস্তুত করেন, যারা রাশিয়ার সঙ্গে সমান এবং পারস্পরিকভাবে অংশীদারিত্বের সব সুবিধা বোঝেন, আমি নিশ্চিত করতে পারি, আমাদের পক্ষে কোনো সমস্যা থাকবে না। তিনি আরও বলেন, আমরা বাস্তববাদী। আমরা সেই কয়েকজন ইউরোপীয়দের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব যারা রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব লালন করে। আমরা রুশোফোবিয়াদের সঙ্গে সহযোগিতা করব না।
ইউক্রেনে মস্কোর সামরিক অভিযানের পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে ধীরে ধীরে রাশিয়ান জ্বালানি আমদানি কমাতে শুরু করে। যার মধ্যে রয়েছে সমুদ্রবাহিত রাশিয়ান তেলের ইইউ আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা। সেই সঙ্গে রাশিয়ান সমুদ্রবাহিত অপরিশোধিত তেলের ৬০ ডলার ধার্য করা।
জুলাইয়ের শেষের দিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো রাশিয়ার জ্বালানির ওপর তাদের নির্ভরতা কমাতে আগামী মাসগুলোতে তাদের গ্যাসের ব্যবহার ১৫ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনায় সম্মত হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা এবং ইউক্রেনের সংঘাতের কারণে ইইউতে জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে, গ্যাসের দাম রেকর্ড উচ্চতায় উঠে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৪৯:৩২ ১৭২ বার পঠিত