দেশের সর্ব উত্তরের জেলা হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত পঞ্চগড়ে তিন ঘণ্টার ব্যবধানে তাপমাত্রার পারদ শূন্য দশমিক ১ ডিগ্রি কমে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়িয়েছে। এর আগে একই দিন সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল থেকে কুয়াশার পরিমাণ কম থাকার পাশাপাশি সাড়ে ৮টা নাগাদ সূর্যের মুখ দেখা গেছে। তবে উত্তরের হাড় কাঁপানো শীতে বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষ। কনকনে শীতের কারণে কাজে যেতে পারছেন না অনেকেই। তবুও পেটের তাগিদে কাউকে নদীতে পাথর তুলতে, কাউকে চা-বাগানে আবার কাউকে দিনমজুরের কাজ করতে যেতে দেখা গেছে।
জালাশি এলাকার রিকশা চালক আবদুল হাই সময় সংবাদকে বলেন, ‘সকালে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। প্রচণ্ড শীত অনুভূত হচ্ছে। হাত-পা ঠান্ডায় শক্ত হয়ে যাচ্ছে। এদিকে সকাল ১০টা বাজলেও কোনো যাত্রী পাইনি।’
বোদা উপজেলার মানিকপীর এলাকার আজিজ সময় সংবাদকে বলেন, ‘এবার পঞ্চগড়ে বেশি শীত পড়েছে। গায়ে মোটা কাপড় জড়িয়েও শীত মানছে না। বাইরে চলাফেরা করতে সমস্যা হয়।’
আসিফ নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি সময় সংবাদকে বলেন, ‘কদিন ধরেই প্রচণ্ড ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। এ অঞ্চল হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘার কাছাকাছি থাকায় শীতের মাত্রাও একটু বেশি। সন্ধ্যার পর থেকে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীত নেমে আসে। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত শীত অনুভূত হয়।’
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক রুকুনুজ্জামান সময় সংবাদকে বলেন, শুক্রবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও সকাল ৯টার দিকে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, একদিন আগে (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২১ দশমিক ৮ ডিগ্রি। তবে চলতি মৌসুমে এর আগে পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (বুধবার) রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:১৪:১৮ ২১৮ বার পঠিত