পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, কক্সবাজারকে আরও নান্দনিক ও আধুনিক পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধ পরিকর। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার পর্যটন শিল্পের বিকাশে নানামুখী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও কক্সবাজারে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে যত্রতত্র স্থাপনা না করার তাগিদ দিয়ে কক্সবাজারের উন্নয়নে মাস্টার প্ল্যান করার নির্দেশনা দেন তিনি। কক্সবাজারের জন্য প্রায় ৬,৭১৫ কোটি টাকার ১০ টি প্রকল্প প্রণয়ন চলছে। ইতিমধ্যেই৭০৯ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আরও ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।
আজ কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতির বিষয়ে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উউপমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সমুদ্রসীমা বিজয় অর্জন করেছে। কক্সবাজারে শুধু দেশীয় পর্যটকই নয়, বিদেশী পর্যটকদেরকেও আকৃষ্ট করতে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব কাজের সিংহভাগই পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সম্পন্ন করবেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা এই কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম করেছেন। আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর বাস্তবায়নে কাজ করছেন। আর কক্সবাজার সহ সারাদেশের উপকূলীয় এলাকাকে প্রাকৃতিক দূর্যোগ, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য স্থানীয় প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।
এনামুল হক শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার আগামী প্রজন্মের বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়তে ডেল্টা-২১০০ মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন। আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাতেই বিনির্মাণ হবে। তাই সবাইকে সততার সাথে কাজ করতে হবে। কাজের গুনগত মান ঠিক রাখতে হবে। নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন করতে হবে। সঠিকভাবে তদারকি করতে হবে। কোনো ক্ষেত্রেই অনিয়ম ও গাফিলতি করা যাবে না। অর্থসাশ্রয় করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ ও ডেল্টাপ্লান বাস্তবায়ন হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড.ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী,সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান,
কক্সবাজার -৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, পানি উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী শিবেন্দু খাস্তগীর, জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান প্রমূখ।
এর আগে তিনি লাবনী পয়েন্ট, শাহীন বীচ ও কবিতা চত্ত্বর পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪৬:০১ ২২০ বার পঠিত