জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু বলেছেন, সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যসেবাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও চিকিৎসাসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। গ্রামে-গঞ্জে কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরি করে দিয়েছে বর্তমান সরকার।
আজ মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জের শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত চিকিৎসক নিবন্ধন, সনদপত্র বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
মোতাহার হোসেন তালুকদার হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায়, সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কে এম হোসেন আলী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, সিরাজগঞ্জ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট আবু ইউসুফ সূর্য প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হোমিওপ্যাথিক ও আয়ুর্বেদিকের মতো বহুকাল ধরে চলে আসা চিকিৎসাব্যবস্থাকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান ডেপুটি স্পিকার। তিনি বলেন, হোমিওপ্যাথিক ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাব্যবস্থা আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত। সাধারণ মানুষ আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থার পাশাপাশি এই চিকিৎসাব্যবস্থার সুফল ভোগ করছে। তবে এই চিকিৎসাব্যবস্থা প্রশিক্ষিত ডাক্তারদের মাধ্যমে চালু থাকতে হবে, যাতে মানুষ ভুল চিকিৎসায় কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থান তুলে ধরে শামসুল হক টুকু বলেন, সংবিধানের মাধ্যমে জাতির পিতা মদ ও জুয়া নিষিদ্ধ করে গিয়েছেন। সুস্থ মানবসম্পদ গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী কমিউনিটি ক্লিনিকসহ সব পর্যায়ে জনগণের জন্য স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন। প্রতিটি গ্রামে ডিগ্রিধারী ও প্রশিক্ষিত হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার থাকলে সাধারণ মানুষের চিকিৎসার সুযোগ আরো সহজতর হবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১:৩৮:১৬ ২৪৯ বার পঠিত