শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৩

বাংলাদেশ শ্রম থেকে প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতির দেশে রূপান্তরিত হয়েছে -আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » বাংলাদেশ শ্রম থেকে প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতির দেশে রূপান্তরিত হয়েছে -আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৩



বাংলাদেশ শ্রম থেকে প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতির দেশে রূপান্তরিত হয়েছে -আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিগত ১৪ বছরে বাংলাদেশকে শ্রম থেকে প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতির দেশে রূপান্তর করেছেন।

প্রতিমন্ত্রী আজ বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে ঢাকা লিট ফেস্টের দ্বিতীয় দিনে ‘ইনোভেশন টক’ বিষয়ক সেশনে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন। বিষয়ভিত্তিক এই সেশনে তরুণ বাংলাদেশী অণুজীব বিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহা অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় ডিজিটাল বাংলাদেশের সাফল্যের বর্ণনা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৪ বছর আগে দেশে বিদ্যুতের আওতায় ছিল মাত্র ১৪ শতাংশ মানুষ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল মাত্র ৫০ লাখ। আইসিটি বলে কিছুই ছিল না। কিন্তু এখন কম্পিউটার ও আইসিটিতে ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে। শেরপুরের কাকরকান্দা গ্রামে বসেই এইচএসসি’র ছাত্রী তৃষ্ণা আইটি আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। বর্তমানে শতভাগ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় এবং ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে আইসিটি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা ও স্কুলে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন সরকারের ‘অনন্য দুই উদ্ভাবনী উদ্যোগ’ বলে উল্লেখ করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই দুইটি উদ্যোগ বাস্তবায়নের ফলে গ্রামের শিক্ষার্থীরাও এখন সহজেই আইসিটি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ফ্রিল্যান্সিং করছে। তরুণরা ‘টেকস্যাভি’ হয়েছে। এছাড়াও নিজেদের উদ্ভাবিত ‘ই-নথি’র কল্যাণে অতিমারি করোনাতে সবকিছু বন্ধ থাকলেও এক মুহূর্তের জন্য সরকারের প্রশাসনিক কার্যক্রম থেমে থাকেনি বলে তিনি জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইসিটি বিভাগের তরুণ প্রোগ্রামারদের তৈরি ‘সুরক্ষা’ অ্যাপ এর মাধ্যমে করোনার টিকা ব্যবস্থাপনা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। এছাড়াও ক্যাশলেস কেনাকাটার ‘ডিজিটাল পশুর হাট’ এবং ডিজিটাল সার্ভিস সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে গ্রাম-শহর; ধনী-দরিদ্র এবং নারী-পুরুষের বৈষম্য ও দূরত্ব কমেছে। সময়, ভোগান্তি ও খরচ কমেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবার ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বুদ্ধিদীপ্ত, টেকসই, সাশ্রয়ী, উদ্ভাবনী, জ্ঞান ও গবেষণার সম্মিলনে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছি আমরা।

পরে প্রতিমন্ত্রী পলক ও বিজ্ঞানী সেঁজুতি বিভিন্ন দেশ থেকে আগত উপস্থিত দর্শক ও শ্রোতাদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:০৪:৫৭   ২২৯ বার পঠিত