কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, বিএনপির আন্দোলনের সঙ্গে দেশের মানুষের কোন সম্পৃক্ততা নেই। তাই বিএনপি জামায়াত যুগপৎভাবে যত আন্দোলনই করুক না কেন, তা কোন কাজে আসবে না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মতো সুসংগঠিত, শক্তিশালী ও জনসম্পৃক্ত দলকে তারা আন্দোলন করে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারবে না।
ড. আব্দুর রাজ্জাক আজ বিকেলে জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার নলতা এএমআর ডিগ্রী কলেজ মাঠে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নলতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, সাতক্ষীরা ২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাতক্ষীরা - ৪ আসনের সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নরীম আলী মুন্সি ও সাধারণ সম্পাদক এনামুল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) স্বাধীনতা সম্পর্কে বিএনপির নেতাদের বক্তব্যের জবাবে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অত্যন্ত স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করে থাকে। দুদকের ওপর সরকারের কোন প্রভাব বা নিয়ন্ত্রণ নেই।
তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে দুদক আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত, তারেক রহমান দুর্নীতি করে বিদেশে পালিয়ে আছে। এসব দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দুদক ব্যবস্থা নিয়েছে। কাজেই, বিএনপি দুদককে বিএনপি দমন কমিশন বলে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছে।
এর আগে সকালে মন্ত্রী কলারোয়া উপজেলার তুলসীডাঙ্গায় সরিষার মাঠ পরিদর্শন করেন এবং সরিষা চাষীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এ সময় ড. রাজ্জাক বলেন, ভোজ্যতেলের চাহিদার শতকরা ৯০ ভাগ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এতে বছরে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়।
তিনি বলেন, দেশে ৫০ ভাগ তেল উৎপাদনের মাধ্যমে আমদানি নির্ভরতা কমাতে তিন বছর মেয়াদি রোডম্যাপ আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। প্রথম বছরেই সারা দেশে দ্বিগুণ পরিমাণ সরিষা চাষ হয়েছে। সরিষা চাষে বিপ্লব ঘটতে যাচ্ছে এবং আগামী তিন বছরের মধ্যেই আমরা বছরে ভোজ্যতেল আমদানিতে কমপক্ষে ১০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করতে পারব।
মন্ত্রী বলেন, শুধু সরিষার আবাদ বৃদ্ধিই নয়, মৌচাষ ও মধুর উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়েছে। আমন ও বোরোর মধ্যবর্তী সময়ে পতিত জমিতে সরিষার আবাদ হওয়ায় ধানের উৎপাদন কমছে না, একইসঙ্গে কৃষকেরা অতিরিক্ত ফসল হিসেবে সরিষা পেয়ে লাভবান হচ্ছেন।
সরিষা চাষীরা যাতে সরিষার ভালো দাম পান সে বিষয়েও সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
এসময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৭:৪৭ ২২৭ বার পঠিত