গোপালগঞ্জে শীত জেঁকে বসেছে।কুয়াশার সাথে বইছে হিমেল হাওয়া। গোপালগঞ্জে তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। গত ৫ দিন ধরে জেলায় সর্যের মুখ দেখা যায়নি। আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
হিমেল হাওয়ারও দাপটে বৃষ্টির ফোঁটার মত ঝড়ছে কুয়াশা। দুর্ঘটনা এড়াতে কুয়াশাচ্ছন্ন সড়ক-মহাসড়ক দিয়ে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।
বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে। তবে সবচেয়ে কষ্টে পড়েছে ছিন্নমুল ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে যাচ্ছেন নানান বয়সীরা। হাসপাতালে চিকিৎসকরা যথার্থ সেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছেন।
গোপালগঞ্জ শহরের রিকশাচালক হেমায়েত উদ্দিন বলেন, ঠান্ডায় রিকশা চালানোই কঠিন হয়ে পড়েছে। তীব্র শীতে মানুষ বাইরে বের হচ্ছেন না। এজন্য আমাদের আয় অনেকটা কমে গেছে।
গোপালগঞ্জ সদরের মাঝিগাতী গ্রামের কৃষক সৈয়দ আলী বলেন, তীব্র শীতের কারণে আমরা জমিতে যেতে পারছি না। বর্তমানে রোরো ধান আবাদের সময় চলে যাচ্ছে। প্রচন্ড ঠান্ডায় জমিতে নামতে পারছি না। কৃষি শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না।
গোপালগঞ্জ আবহাওয়া অফিসের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবু সুফিয়ান জানিযেছেন, আরো ২ দিন জেলায় কুয়াশা থাকবে। এ সময় সশীতের দাপট থাকবে। ১০ জানুয়ারির দিকে সুর্যের মুখ দেখা যেতে পারে।বুধ-বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে । আগামী শুক্রবারের দিকে জেলায় ফের শৈত্য প্রবাহের আশংকা রয়েছে। তখন তাপমাত্র কমতে পারে।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, শীত নিবারণে জেলার ৫ উপজেলার ত্রাণ ওদুর্যোগ মন্ত্রণায়লয় থেকে প্রাপ্ত ৩৪ হাজার ৮০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।এছাড়া অন্যন্য উদ্যোগ মিলিয়ে ৩৬ হাজার ৩০০ পরিবারকে কম্বল দেওয়া হয়েছে। বিতরণের ক্ষেত্রে ছিন্নমূল, অসহায়,ঋষি, মুচি, জেলে, কামার, তাঁতী,তৃতীয় লিঙ্গসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে আগ্রধিকার দেওয়া হয়েছে। ত্রাণ ওদুর্যোগ মন্ত্রণায়লয়ের কাছে আরো কম্বল চাওয়া হয়েছে। এগুলো পাওয়ার সাথে সাথে বিতরণ করা হবে।
জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গোপালগঞ্জ জেলায় শীতার্তদের মাঝে প্রায় ১ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক,সাংস্কৃতিক ও পেশাজিবি সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিদিনই কম্বল এবং শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৪৯:০৬ ২১৯ বার পঠিত