বিজয়ের মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর স্বদেশে প্রত্যাবর্তন না হলে বিজয় অসম্পূর্ণ থাকতো বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম।
মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ও সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. আব্দুস সামাদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালযয়ের অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল, ভাস্কর রাশা, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য রীনা মোশাররফ প্রমুখ।
রেজাউল করিম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বিজয়ের মহানায়ক। বিজয় অসম্পূর্ণ থেকে যেতো শেখ মুজিবহীন বাংলাদেশে। বঙ্গবন্ধু স্বদেশে ফিরে না আসলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশের স্বীকৃতি আদায় সম্ভব হতো না। সে সময় পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি গঠন করে স্বাধীনতাবিরোধীরা নতুন করে আবার পূর্ব পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। বঙ্গবন্ধু ফিরে না এলে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন সম্ভব হতো না। তিনি ফিরে না এলে তাঁর সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে প্রায় তিনশত আইন প্রণয়ন সম্ভব হতো না। প্রতিটি জায়গায় বঙ্গবন্ধুর অসামান্য দূরদৃষ্টি ছিল।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ কোন কল্পকাহিনী ছিল না। মুক্তিযুদ্ধ হঠাৎ করে নেমে আসা স্বাধীন সত্ত্বা না। বাঙ্গালি জাতির ইতিহাস দীর্ঘদিনের। কিন্তু বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্ত করার জন্য আমাদের পূর্বপুরুষরা ধারাবাহিকভাবে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু বাংলা ভাষাভাষীদের বাঙালি জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ করে একটা প্ল্যাটফর্মে নিয়ে এসেছিলেন। ‘৬২-এর শিক্ষা কমিশন আন্দোলন ‘৬৬-এর ছয় দফা, আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ‘৭০-এর নির্বাচন, ‘৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ-এসব কিছুর দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় বঙ্গবন্ধু মুক্তির সংগ্রামে, স্বাধীনতার সংগ্রামে মানুষকে প্রস্তুত করেছেন।
রেজাউল করিম আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীরা দেশে এবং দেশের বাইরে এখনো বিরাজমান। সে মানুষদের প্রেতাত্মা এখনও এদেশে আছে। স্বাধীনতা বিরোধীদের উত্তরসূরিরা এদেশে এখনও বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত আছে। এখন আমরা কঠিন সময় অতিক্রম করছি। মুক্তিযোদ্ধাদের অবর্তমানে নতুন প্রজন্মকে দেশের হাল ধরতে হবে। তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বাংলাদেশ সৃষ্টির প্রকৃত ইতিহাস বারবার বলতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩০:৫৫ ১৯৭ বার পঠিত