সংসদ ভবন, ১০ জানুয়ারি, ২০২৩ : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বৈদেশিক ঋণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঝুঁকিমুক্ত ও সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। বৈদেশিক ঋণ জিডিপির শতকরা হার অনুযায়ী বাংলাদেশ ঝুঁকিসীমার অনেক নিচে অবস্থান করছে।
আজ সংসদে ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য বেগম লুৎফুন নেসা খানের টেবিলে উপস্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে বড় কোনো ঝুঁকির আশঙ্কা নেই। আইএমএফের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ২০৩২ সাল পর্যন্ত দেশীয় ঋণসহ বৈদেশিক ঋণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ঝুঁকিমুক্ত। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের মতে বৈদেশিক ঋণ জিডিপির ঝুঁকিসীমা সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ জিডিপির অনুপাত (%) ছিল ১২.২। ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ১৩.৭৮। এই ছয় বছরে সর্বোচ্চ ছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৬.৯।
বেগম লুৎফুন নেসা খানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকারের মেয়াদে ঋণ খেলাপির দায়ে ২১৭ জনকে জেলে পাঠানো হয়েছে। ঋণ খেলাপির দায়ে ১২ কৃষককে জেলে নেয়ার ঘটনাটি (পাবনায়) বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংকের। এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের আওতাভুক্ত কোনো তফসিলি ব্যাংক নয়। আদালতের এখতিয়ারভুক্ত ঋণ খেলাপির দায়ে জেলে পাঠানোর ঘটনার বিষয়ে মন্তব্য করা সমীচীন নয়।
সরকারি দলের সদস্য নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, গত ১১ মাসে (জানুয়ারি থেকে নভেম্বর ২০২২) ১৯ হাজার ৫৮৫ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩৭:১৯ ২৩৮ বার পঠিত