সংসদে ‘বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইন-২০২৩ বিল’ পাস

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » সংসদে ‘বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইন-২০২৩ বিল’ পাস
সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩



সংসদে ‘বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইন-২০২৩ বিল’ পাস

সংসদ ভবন, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৩ : জাতীয় সংসদে আজ ‘বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইন-২০২৩ বিল’ পাস হয়েছে। এই বিলে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) পরিচালিত কোনো পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের দায়ে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদন্ড এবং অর্থদন্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
পরীক্ষায় ভুয়া পরিচয়ে অংশ নিলে দুই বছরের কারাদন্ডের বিধান রাখা হয়েছে এই বিলে। এছাড়া প্রশ্নপত্র ফাঁস ছাড়াও অন্যান্য অপরাধের সাজা হবে মোবাইল কোর্ট আইনে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সংসদে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন অর্ডিন্যান্স ১৯৭৭ রহিত করে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন বিল পাসের প্রস্তাব করেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিলের ওপর দেয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।
বিলে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন অর্ডিন্যান্সের অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন এমনভাবে বহাল থাকবে, যেন এটি নতুন আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। একজন সভাপতি এবং ছয় থেকে সর্বোচ্চ ১৫ সদস্যের সমন্বয়ে কমিশন গঠিত হবে। কমিশন প্রজাতন্ত্রের জনবল নিয়োগের উদ্দেশে সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিবিধান সাপেক্ষে পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতি ও শর্তাবলি নির্ধারণ করতে পারবে।
বিলে প্রশ্নপত্র ফাঁস সম্পর্কে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে পরীক্ষার জন্য প্রণীত কোনো প্রশ্ন সংবলিত কাগজ বা তথ্য, পরীক্ষার জন্য প্রণীত হয়েছে বলে মিথ্যা ধারণাদায়ক কোনো প্রশ্ন সংবলিত কাগজ বা তথ্য অথবা পরীক্ষার জন্য প্রণীত প্রশ্নের সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে বলে বিবেচিত হওয়ার অভিপ্রায়ে কোনো প্রশ্ন সংবলিত কাগজ বা তথ্য যে কোনো উপায়ে ফাঁস, প্রকাশ বা বিতরণ করলে তা দন্ডনীয় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। এর শাস্তি সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদন্ড ও অর্থদন্ড। এ অপরাধ আমলযোগ্য ও অজামিনযোগ্য হবে।
এছাড়া সরকারি চাকরির পরীক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধ ও তার সাজা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি পরীক্ষার্থী না হয়েও নিজেকে পরীক্ষার্থী হিসেবে হাজির করলে বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করলে বা অন্য কোনো ব্যক্তির নামে বা কোনো কল্পিত নামে পরীক্ষায় অংশ নিলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এর শাস্তি সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদন্ড বা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ড।
বিলে আরও বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি কোনো পরীক্ষা সংক্রান্ত উত্তরপত্র বা এর অংশ বিশেষের পরিবর্তে অন্য কোনো উত্তরপত্র বা এর অংশ বিশেষ প্রতিস্থাপন করলে বা পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার্থী কর্তৃক লিখিত হয়নি, এ ধরনের উত্তর সংবলিত অতিরিক্ত পৃষ্ঠা কোনো উত্তরপত্রের সঙ্গে সংযোজন করলে সেজন্য দুই বছরের কারাদন্ড ও অর্থদন্ড দেওয়া যাবে। এছাড়া কোনো ব্যক্তি কোনো পরীক্ষার্থীকে কোনো লিখিত উত্তর, বই, লিখিত কাগজ, পৃষ্ঠা বা এখান থেকে কোনো উদ্ধৃতি পরীক্ষার হলে সরবরাহ করলে বা মৌখিকভাবে বা যান্ত্রিক কোনো ডিভাইসের মাধ্যমে সহায়তা করলে তার দন্ড হবে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদন্ড ও অর্থদন্ড।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সামরিক শাসনামলে জারি করা অধ্যাদেশগুলো পর্যালোচনা করে আইন আকারে বাংলায় প্রণয়নের বিষয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এছাড়া বর্তমানে পাবলিক পরীক্ষা সংক্রান্ত অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দ্য পাবলিক এক্সামিনেশন (অফেনসেস) অ্যাক্ট কার্যকর রয়েছে। এ আইনে পাবলিক পরীক্ষার সংজ্ঞায় পিএসসি আয়োজিত পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত নেই। পাবলিক পরীক্ষার সঙ্গে পিএসসি আয়োজিত পরীক্ষার মিল না থাকায় প্রস্তাবিত আইনে পিএসসির আওতায় অনুষ্ঠিত পরীক্ষা সংক্রান্ত অপরাধ ও শাস্তির বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:০০:৩৭   ২৩৪ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


বিএনপির নামে কেউ চাঁদা নিতে আসলে বেঁধে রাখবেন: সাখাওয়াত
কপ২৯ সম্মেলনে অনুদানভিত্তিক অর্থ বরাদ্দের আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার
‘মুক্ত খালেদা জিয়া’ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের অর্জন : নাহিদ ইসলাম
বাংলাদেশ-ভারত আলোচনায় হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়টি উত্থাপন করা হতে পারে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
সশস্ত্র বাহিনী বিশ্বাস ও আস্থার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে : অধ্যাপক ইউনূস
সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বেগম খালেদা জিয়ার সাথে প্রধান উপদেষ্টার কুশল বিনিময়
রাষ্ট্রপতির সাথে তিন বাহিনী প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
অংশীজনদের নিয়ে আগামী বছর জাতিসংঘের কনফারেন্স
রাজধানীতে তিন দিনব্যাপি মুদ্রা প্রদর্শনী শুরু
এক যুগ পর সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ