পল্লীকবি জসীমউদ্দীন এবং মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন বাংলার লোক-আত্মাকে ধারণ করে শিল্পচর্চা করেছেন। তাঁদের লোকজ বীক্ষা বাংলা শিল্পসাহিত্যের অঙ্গনকে প্রসারিত করেছে। অন্যদিকে জসীমউদ্দীন এবং মুহম্মদ মনসুরউদ্দীনের লোকায়ত দর্শন তাঁদের স্ব স্ব সৃষ্টিতে উদ্ভাসিত হয়েছে এবং আমাদের সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধিকে তরান্বিত করেছে।
আজ বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে ফোকলোর বিশেষজ্ঞ মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন এবং কবি জসীমউদ্দীনের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ‘জসীমউদ্দীন এবং মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন: উদ্বোধন ও আরোহণ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেখক, সম্পাদক ও আলোকচিত্রশিল্পী নাসির আলী মামুন।
অনুষ্ঠানে একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা স্বাগত বক্তৃতায় বলেন, পল্লীকবি জসীমউদ্দীন এবং মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন বাংলার লোক-আত্মাকে ধারণ করে শিল্পচর্চা করেছেন। নানা মাত্রিকতায় তাঁদের সৃষ্টি বাংলার শিল্পসংস্কৃতির ভুবন সমৃদ্ধির শিখর স্পর্শ করেছে।
বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রাজীব কুমার সরকার। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন একাডেমির সচিব এ.এইচ.এম লোকমান।
প্রবন্ধে জানা যায়,জসীমউদ্দীনের নকশীকাঁথার মাঠ,সোজনবাদিয়ার ঘাট-সহ তাঁর কবিতা, গদ্য, গান, ফোকলোর এবং সামগ্রিক জীবনচর্যায় লোকমানস অপূর্ব ব্যঞ্জনায় ফুটে ওঠেছে। অপরদিকে মুহম্মদ মনসুরউদ্দীনের সংগৃহীত ও সম্পাদিত হারামণি বাংলার লুপ্ত লোকজ সম্পদের অমলিন ভা-ার। তাঁদের স্মরণ ও চর্চার মধ্য দিয়ে আমাদের জাতিগত ও সাংস্কৃতিক আত্মপরিচয়ের সন্ধান পাওয়া যায়।
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন,জসীমউদ্দীন এবং মুহম্মদ মনসুরউদ্দীনের ধ্যান-জ্ঞান ছিল বাংলা ও বাঙালির লোকমানস। তাঁদের সৃষ্টিতে এদেশের প্রকৃতি ও জনজীবন অনুপম মমতায় ভাস্বয় হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:১৮:২৫ ১৮২ বার পঠিত