প্রকল্পের মেয়াদ শেষ তবুও শুরু হয়নি সেতুর নির্মাণকাজ

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » প্রকল্পের মেয়াদ শেষ তবুও শুরু হয়নি সেতুর নির্মাণকাজ
রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩



প্রকল্পের মেয়াদ শেষ তবুও শুরু হয়নি সেতুর নির্মাণকাজ

মোস্তাফিজার রহমান রংপুর প্রতিনিধি : নীলফামারী সদরে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে সোয়া ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ছয়টি গার্ডার সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। নতুন সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে আগের পুরোনো সেতুটিও ভেঙে নতুন কাজের উদ্বোধন করা হয়। তবে এতোদিনে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও সেই কাজ আর বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি। নতুন সেতু দূরে থাক, পুরোনো ভাঙা সেতুটিও হারিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি এ কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে ২০২১-২২ অর্থ বছরের অর্থায়নে ৪ কোটি ২৮ লাখ ৪৫ হাজার ৯৪৮ টাকা ব্যয়ে ছয়টি সেতু নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর। পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্মাণকাজ সমাপ্ত হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ২১ আগস্ট। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান একটি সেতুর পাইল বসানো ছাড়া এখন পর্যন্ত আর কোনো সেতুর কোনো কাজই শুরু হয়নি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় সদরের লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের চৈতার কুড়া, দেওয়ার কুড়া, কুন্দপুকুর ইউনিয়নে পাটকামড়ী, ইটাখোলা ইউনিয়নে বামনডাঙ্গা নদীর ওপর, গোড়গ্রাম ইউনিয়নে বিশ ডারার ও ডাঙ্গা সোনারায় ইউনিয়নে ব্যাঙপাড়ায় এসব সেতু নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়। এ জন্য কাজ উদ্বোধনের আগেই পূর্বের সেতুগুলো ভেঙে ফেলা হয়। এখন নতুন বা পুরোনো কোনো সেতুই না থাকায় বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এলাকাবাসী জানান, চলাচলের পথ না থাকায় বিকল্প রাস্তায় যাতায়াত করতে হচ্ছে। কিছু জায়গায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে পারাপার হতে গিয়ে প্রায় ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে।
সোনারায় ইউনিয়নের ব্যাঙপাড়ার বাসিন্দা আফতাব হোসেন বলেন, শুধু ব্রিজ নির্মাণের উদ্বোধনের কথা জেনেছিলাম। দ্রুত কাজ শুরুর অজুহাতে পুরোনো ব্রিজ ভেঙে মালামাল নিয়ে গেছে। কিন্তু এখনো কাজ শুরু হয়নি। সেতু না থাকায় অনেক দূর ঘুরে মালামাল পরিবহন করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয় সবাইকে।
কুন্দপুকুর ইউনিয়নের পাট কামড়ী এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের এলাকার প্রায় সবাই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। মাঠ থেকে ফসল তুলে সবাই শহরে বাজারে বিক্রি করে, অনেক সময় ব্যবসায়ী এসে ক্ষেতের ফসল নিয়ে যায়। তবে বর্তমানে ব্রিজ না থাকায় অনেক রাস্তা ঘুরে শহরে যাইতে হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা আসতেছে না। এতে করে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে এ এলাকার কৃষকদের।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল করিম বলেন, মালপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় কাজ করতে ঠিকাদারদের সময় লাগছে। আপনাদের সহযোগিতা পেলে তারা আরও দ্রুত কাজ শেষ করতে পারবে।
জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, দ্রুত কাজ শেষ করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে বলা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত কাজ শেষ হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৩৭:৫২   ২০৬ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


বিএনপির নামে কেউ চাঁদা নিতে আসলে বেঁধে রাখবেন: সাখাওয়াত
কপ২৯ সম্মেলনে অনুদানভিত্তিক অর্থ বরাদ্দের আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার
‘মুক্ত খালেদা জিয়া’ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের অর্জন : নাহিদ ইসলাম
বাংলাদেশ-ভারত আলোচনায় হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়টি উত্থাপন করা হতে পারে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
সশস্ত্র বাহিনী বিশ্বাস ও আস্থার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে : অধ্যাপক ইউনূস
সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বেগম খালেদা জিয়ার সাথে প্রধান উপদেষ্টার কুশল বিনিময়
রাষ্ট্রপতির সাথে তিন বাহিনী প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
অংশীজনদের নিয়ে আগামী বছর জাতিসংঘের কনফারেন্স
রাজধানীতে তিন দিনব্যাপি মুদ্রা প্রদর্শনী শুরু
এক যুগ পর সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ