ঢাকা, ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ : কিশোর-কিশোরীদের বয়সের সাথে সাথে শারিরীক ও মানসিক নানা ধরণের পরিবর্তন আসে। জৈবিক বিষয়গুলো কিশোর-কিশোরীরা পরিবারের সাথে নিঃসংকোচে যেন আলোচনা করতে পারে সেই আবহ প্রতিটি ঘরে ঘরে তৈরি করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারী বান্ধব পরিবেশ তৈরি করে তাঁদের পাঠদানের কার্যক্রম এগিয়ে নিতে হবে। এছাড়া শিশু কিশোরদের জন্য কোন কোন খাতে বরাদ্দ প্রয়োজন এবং কিভাবে ও কোন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে খরচ করা হবে সে বিষয়গুলো সুনির্দিষ্ট করা প্রয়োজন।
আজ (সোমবার) বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার মোঃ শামসুল হক টুকু সংসদ ভবনস্থ পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে অপরাজেয় বাংলাদেশ, প্লান ইন্টারন্যাশনাল ও সুইডেন ভেরিজ এর উদ্যোগে আয়োজিত “জাতীয় কিশোর-কিশোরী স্বাস্থ্য কৌশল ২০১৭-২০৩০ এর জাতীয় পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বার্ষিক বাজেট বিশ্লেষণ” শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য ডাঃ সামিল উদ্দিন আহম্মেদ শিমুল, আরমা দত্ত, জাকিয়া পারভীন খানম, সৈয়দা রুবিনা আক্তার ও আদিবা আনজুম মিতা বক্তব্য রাখেন।
ডেপুটি স্পীকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথে দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব আজকের দিনের কিশোর-কিশোরীদের হাতেই একসময় তুলে দিতে হবে। বর্তমান প্রজন্মকে জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক, নারী-পুরুষে বৈষম্যহীন মনোভাবাপন্ন ও স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
মোঃ শামসুল হক টুকু বলেন, সরকার প্রতিটি জেলা, উপজেলাসহ সকল পর্যায়ে সম্প্রীতি কমিটি গঠন করেছে। কমিটিগুলোতে জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ সম্পৃক্ত রয়েছে। কমিটি এবং কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের জৈবিক পরিবর্তন ও প্রয়োজনীয় চাহিদা সম্পর্কে খোলামেলা আলোচনার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
অনুষ্ঠানে অপরাজেয় বাংলাদেশ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ওয়াহিদ নেওয়াজ, নির্বাহী পরিচালক ওয়াহিদা বানু, প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কবিতা বোস, ড. ফেরদৌসী বেগম ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ মাহমুদুর রহমানসহ গণমাধ্যম কর্মী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৪৪:৫৮ ২১০ বার পঠিত