ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ১৯৬৪ সালে বাংলাদেশে প্রথম কম্পিউটার আসে। এরপরই বাংলাদেশের রূপান্তরের যাত্রা শুরু হয়। আমাদের অগ্রযাত্রাটা হলো একটি মহাসড়ক। করোনাকালে বাংলাদেশ এক অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। ঘরে বসে অনলাইনে লেখাপড়া করা, ডাক্তার দেখানো, খাবার অর্ডার দেওয়া এমনকি কোরবানির সময় অনলাইনে সাড়ে চার লাখ গরু বিক্রি হয়েছে। আর্থিক লেনদেন করাও অনেক সহজ হয়ে গেছে। প্রযুক্তির এই বিকাশ সবার সামনে তুলে ধরতেই আজকের এ আয়োজন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ’৭৫ পরবর্তী সময়ে কম্পিউটারের জন্য সরকারের কোনো পৃষ্ঠপোষকতা লক্ষ্য করা যায়নি। ’৯২ সালে আমরা বিনামূল্যে সাবমেরিন কেবলের সন্ধান পেয়েছিলাম। কিন্তু তখনকার সরকার এই সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হয়নি। এর বহুদিন পর ২০০৬ সালে আমরা সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হতে পেরেছিলাম। আজকের এই স্মার্ট বাংলাদেশের বীজবপন করে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা করেছি।
তিনি বলেন, মেলায় ইনোভেশন জোন করা হয়েছে। যেখানে আমাদের ছেলেমেয়েরা তাদের ইনোভেটিভ কাজ প্রদর্শন করবে। এতে বোঝা যায়, বাংলাদেশ এখন আর পশ্চাৎপদ দেশ নয়। বাংলাদেশ এখন নিজেই উদ্ভাবন করতে পারে। আমি তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানাবো, প্রযুক্তির মাধ্যমে তারা যেন মেধা ও দক্ষতার বিকাশ ঘটায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৪০:৫৬ ১৭৮ বার পঠিত