ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) গৃহিত নানাবিধ প্রকল্পে সহযোগিতা প্রদানের বিষয়ে আগ্রহ ব্যক্ত করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।
আজ বিকেলে নগর ভবনে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সাথে সাক্ষাতকালে ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন এই আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
সাক্ষাতকালে মেয়র তাপস কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতকে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন গৃহিত নানাবিধ উদ্যোগ ও প্রকল্প সম্পর্কে অবগত করলে রাষ্ট্রদূত সেসব প্রকল্পে সহযোগিতা দেয়ার বিষয়ে আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত কিউন এসময় বলেন, “বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সকল উন্নয়ন প্রকল্প ইআরডি হয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী ও অর্থায়নকারী এজেন্সির কাছে যায়। এক্ষেত্রে কোরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (কোইকা) ও ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন ফান্ড (ইডিসিএফ) অর্থায়ন করতে পারে। এ ধরনের কোনও প্রস্তাব সরকারের কাছ থেকে আমাদের কাছে গেলে আমরা তা দ্রুততার সাথে ও যথাযথ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব।”
রাষ্ট্রদূত এ সময় মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপসকে বাংলাদেশ-কোরিয়ার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে গৃহীত নানাবিধ উদ্যোগের বিষয়ে অবহিত করেন।
জবাবে মেয়র বলেন, “কোরিয়া বাংলাদেশ সম্পর্ক খুবই সুদৃঢ় ও সময়ের পরিক্রমায় পরীক্ষিত। কোরিয়া বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী। দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিকে অনন্য মাত্রা দিতে আমরা একসাথে কাজ করে যাবো। সেক্ষেত্রে কোনও সড়ক বা উদ্যান কিংবা অন্য কোনও স্থানের নামকরণ কোরিয়া-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে প্রতিফলিত করে — এমন কোনও উদ্যোগ নেওয়া যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে যা পারস্পরিক সম্পর্ক আরও জোরালো করবে।”
সাক্ষাতকালে কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে নানা রকম প্রশিক্ষণ প্রদানে সহযোগিতার প্রস্তাব দেন। তিনি এছাড়াও বাংলাদেশ-কোরিয়া সংস্কৃতি বিনিময়ের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তি আরও মজবুত করতে একযোগে কাজ করার বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ও ঢাকায় কোরিয়ার ফার্স্ট সেক্রেটারি লি জাংইয়ল উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:২২:২১ ১৫৯ বার পঠিত