পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সহায়তা চেয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আগামী দিনে খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করবে। তিনি এসময় পরিবেশ সংরক্ষণমূলক কাজেও সহযোগিতা চান।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে এফএও প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন এবং তার দল মন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে পরিবেশমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রণালয়ের সচিব ডঃ ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মিজানুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোঃ মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব (ইপিসি) মোঃ মিজানুর রহমান এনডিসি এবং উভয় পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভার উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সরকার পরিবেশ, বন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, পরিবেশবান্ধব উপায়ে মজুদকৃত ৫২৫ টন ডিডিটি কীটনাশক রপ্তানির জন্য বাংলাদেশ এফএও-এর সহায়তার প্রশংসা করে। তিনি আরও বলেন, প্যারিস চুক্তির অধীনে নির্গমন নিরীক্ষণের ক্ষমতা জোরদার করার জন্য এফএও’র সহায়তায় পরিবেশ অধিদপ্তরও কাজ করছে। এফএও’র সহায়তায় বিসিআরএল প্রকল্প আমাদের জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং জীবিকা নির্বাহে ব্যাপকভাবে সাহায্য করবে।
বাংলাদেশে এফএও প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন বলেন, বিশ্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে একটি শক্তিশালী কণ্ঠস্বর। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে। এফএও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং আগাম সতর্কতা ব্যবস্থায় বাংলাদেশের সাথে কাজ চালিয়ে যেতে চায়। এফএও কৃষি ও জলবায়ু পরিবর্তন কর্মের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের জন্য বাংলাদেশের সাথে উল্লেখযোগ্য আলোচনা চালিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩১:৫৬ ১৯৪ বার পঠিত