নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আমাদের কবি-সাহিত্যিকদের জানতে হবে; সেটাকে ধারণ ও লালন করতে হবে যেন কোনো অপসংস্কৃতি আমাদের মধ্যে আঘাত না করে। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ এবং মাদকের সবচেয়ে বড় চিকিৎসা হচ্ছে সংস্কৃতি। আমরা যদি সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দিতে পারি তাহলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে সোনার বাংলা বিনির্মাণ হতে যাচ্ছে; সেটা ধরে রাখতে পারব।
প্রতিমন্ত্রী আজ দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল মঞ্চে তিন দিনব্যাপী জাতীয় চারণ কবি উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী এর আগে বোচাগঞ্জে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল মঞ্চের উদ্বোধন করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কবির নাম আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি চারণের বেশে নদীমাতৃক এ বাংলাদেশের নদীর তীরে তীরে, পাহাড়ে পাহাড়ে, পর্বতে পর্বতে; সমতলে ঘুরেছেন। তিনি ৬৪ জেলার ৫৬ হাজার বর্গমাইলের বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠীর মানুষের সাথে কথা বলেছেন, জেনেছেন এবং সকলের সম্মিলিত উচ্চারণ যেটা আমরা ৭ই মার্চের ভাষণে পাই। তিনি যে কবিতাটা পড়েছিলেন- ‘এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ এটাই আমাদের জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ কবিতা। যে কবিতা আমাদেরকে স্বাধীনতা দিয়েছে; অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। যে কবিতার পথ ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে সোনার বাংলা বিনির্মাণ হতে যাচ্ছে; সে সোনার বাংলাকে ধরে রাখতে চাই।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর আমাদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। যেহেতু রক্ত দিয়ে আমাদের এ সংস্কৃতি কেনা হয়েছে; ইতিহাস রচনা করা হয়েছে-তাই কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হতে পারেনি। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়ারা অনেক ষড়যন্ত্র করেও বাংলাদেশের মানুষকে অভীষ্ঠ লক্ষ্য থেকে সরাতে পারেনি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজকে মাহাথীরকে ছাড়িয়ে গেছেন। আগামী দিনের পৃথিবী শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা বলবে। এটা আমাদের ধরে রাখতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৫:৩০ ২১০ বার পঠিত