চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকে রাজধানী ঢাকায় শীত প্রায় অনুভূতই হচ্ছিল না। দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও কমেছিল শীতের তীব্রতা। দেশের কিছু এলাকায় তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এরই মধ্যে আবারও হিম বাতাস ও কুয়াশার দেখা মিলেছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, সারা দেশে আবারও শীতের অনুভূতি কিছুটা বাড়বে। তবে সেটা হালকা শীত ও বাকি এলাকায় বসন্তের হালকা ঠান্ডা বাতাস বইবে। তীব্র শীতের সম্ভাবনা নেই।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) ভোর থেকেই হিম বাতাস ও কুয়াশার দেখা মেলে রাজধানী ঢাকায়। মূলত রাত থেকেই শীত কিছুটা বেশি অনুভূত হতে থাকে। ভোরের দিকে কুয়াশাও দেখা যায়। সকাল ১০টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঢাকার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। তখনও সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি।
ঢাকার মতো দেশের উত্তর ও পাশ্চিমাঞ্চলের অবস্থাও একই। গত এক সপ্তাহের তুলনায় ওইসব এলাকায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। এতে দিনমজুর ও কৃষিক্ষেতে কাজ করা শ্রমিকরা একটু বিপাকে পড়েছেন। ভোরের দিকে যানবাহনে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাফেরা করতে দেখা গেছে।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এ সময় সারা দেশে রাতের ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এ ছাড়া পরবর্তী পাঁচ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, এ সময় তাপমাত্রা কমতে পারে। ফলে শীতের অনুভূতি আবারও কিছুটা তীব্র হতে পারে।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ টেকনাফে ৩০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেখা গেছে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও পার্বত্য তিন জেলায় ওই সময়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায়ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৪৭:৩২ ১৪০ বার পঠিত