স্বাধীনতা বিরোধী জামাত-বিএনপি চক্রের সকল ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।
আজ সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা একথা বলেন।
সংসদ সদস্যরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কোভিড অতিমারির অভিঘাত পেরিয়ে এখন বৈশ্বিক মন্দার মধ্যেও উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সরকার পথচ্যুত হয়নি। এই অগ্রযাত্রার ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। জনগণের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন এবং তাঁর সুযোগ্য ও দূরদর্শী নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও স্মার্ট দেশ হবে।
তারা বলেন, এদেশের মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখতে চায়। কারণ তিনি দেশের মানুষকে যে প্রতিশ্রুতি দেন তা তিনি রক্ষা করেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।
গত ৫ জানুয়ারি সংবিধান অনুযায়ি বছরের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিনে সংসদে রাষ্ট্রপতি এ ভাষণ দেন। রীতি অনুযায়ি এ ভাষণ সম্পর্কে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এ প্রস্তাবটি সমর্থন করেন সরকারি দলের সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার।
ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনার ১৫তম দিনে আজ অংশ নেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, সরকারি দলের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আবুল কালাম আজাদ, মো. মোতাহার হোসেন, সেলিমা আহমেদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য রাশেদ খান মেনন।
তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের যোগাযোগ, আর্থ-সামাজিক, শিক্ষা, যুব ও ক্রীড়া, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি)সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড তুলে ধরেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বর্তমান সরকারের নানামুখী উন্নয়ন সহ তার মন্ত্রণালয়ের গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড তুলে ধরেন।
সরকারি দলের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সঠিকভাবে লিখা উচিত। এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সাধারণ মানুষের অবদান সবচেয়ে বেশি। তাদের স্বল্প ট্রেনিংকে কাজে লাগিয়ে রণাঙ্গনে সম্মুখযুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবেলা করার কারণে বাংলাদেশ মাত্র ৯ মাসে স্বাধীনতা লাভ করে। তিনি বলেন, মেজর জিয়া কখনো সম্মুখ সমরে আসেনি। সে ছিল ক্ষমতালোভী।
রাশেদ খান মেনন বলেন, বিএনপি এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলে দেশকে অশান্ত করতে অপচেষ্টা করছে। অথচ বিএনপিই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। ইয়াজউদ্দীনকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করে তারাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করেছে। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর সময় এ বিষয়ে আলোচনার সুযোগ ছিল, কিন্তু তারা তখন আসেনি। ২০১৪ সালে তারা আগুন সন্ত্রাস করেছে, আর বিগত নির্বাচনের সময় তারা মনোনয়ন বাণিজ্য করে রাজনীতিকে কুলষিত করেছে।
তিনি বিএনপি-জামাত ও সাম্প্রায়িক শক্তিকে নির্মূল করতে অসাম্প্রদায়িক মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
সরকারের সাফল্যের বিস্তারিত তুলে ধরে দেশকে শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করার জন্য সময়োপযোগী ভাষণ দেয়ার জন্য সংসদ সদস্যরা রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান।
এর আগে তারা স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের জন্য গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:১০:৪৫ ২০১ বার পঠিত