চীনের সিচুয়ান প্রদেশে এখন থেকে অবিবাহিতরাও সন্তান নিতে পারবেন। ৮ কোটি মানুষের প্রদেশটিতে আগে অবিবাহিতরা সন্তান গ্রহণ করতে পারত না। সন্তান গ্রহণ করলেও তার জন্য রাষ্ট্রীয় কোনো সুবিধা নিতে পারত না। সম্প্রতি দেশটিতে জন্মহার কমতে থাকায় সরকার আগের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
সিচুয়ানের হেলথ কমিশন সোমবার (৩০ জানুয়ারি) এক ঘোষণায় জানিয়েছে, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে অবিবাহিতরা তাদের সন্তানের তথ্যাদি লিপিবদ্ধ করতে পারবেন প্রাদেশিক সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগে। কেবল অবিবাহিতদের সন্তান গ্রহণের বিষয়টিতেই ছাড় দেয়নি সরকার, একই সঙ্গে বিবাহিত-অবিবাহিত সবাইকে একাধিক সন্তান গ্রহণেরও সুযোগ দিয়েছে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিচুয়ান প্রদেশের সরকার জানিয়েছে, এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে মূলত মানুষের মধ্যে সন্তান গ্রহণ, সন্তান লালন-পালন এবং সরকারি দপ্তরে জন্মনিবন্ধন বিষয়ক তথ্যাদি পূরণের বিষয়টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই ব্যবস্থা চলবে আগামী পাঁচ বছর।
চীনের জাতীয় প্রজনন নীতিমালা অবিবাহিতদের সন্তান গ্রহণের ক্ষেত্রে সরাসরি কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয় না। তবে বিয়ের প্রমাণ না থাকলে নবজাতকের পিতামাতা প্রসবপূর্ব স্বাস্থ্যসেবা, মাতৃত্বকালীন ছুটির সময় মায়ের বেতন এবং চাকরি সুরক্ষাসহ বিনামূল্যে পরিষেবাগুলো পান না।
এদিকে, চীনের চীনের ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকসের তথ্য বলছে, বিগত ছয় দশকের মধ্যে প্রথমবারে মতো জনসংখ্যা কমেছে চীনে। ২০২২ সালে দেশটির জনসংখ্যা অন্তত ৮ লাখ ৫০ হাজার কমেছে। চীনে কয়েক বছরব্যাপী মহাদুর্ভিক্ষের শেষ বছর অর্থাৎ ১৯৬১ সালে চীনে শেষবারের মতো জনসংখ্যা কমেছিল। এরপর ৬১ বছর পেরিয়ে ২০২২ সালে এসে দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ৮ লাখ ৫০ হাজার কমল।
গবেষকদের অনুমান, এ ধারা অব্যাহত থাকলে শিগগিরই ভারত চীনকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ হবে। চীনের বর্তমান জনসংখ্যা ১৪১ কোটির কিছুটা বেশি এবং ভারতের জনসংখ্যাও ১৪১ কোটির বেশি। তবে কিছু প্রতিষ্ঠানের তথ্যানুসারে ভারতের জনসংখ্যা এরইমধ্যে চীনকে ছাড়িয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৫৩:১২ ১৭৯ বার পঠিত # #সন্তান #সিচুয়ান