রাজস্ব আদায় ও সংস্কার বিষয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রস্তাবের সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নীতি সাংঘর্ষিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির কাস্টমস নীতি ও আইটি সদস্য মো. মাসুদ সাদিক। আইএমএফের শর্ত মোতাবেক রাজস্ব বাড়াতে এনবিআর সঠিক পথেই আছে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে সেগুনবাগিচায় এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে রাজস্ব সম্মেলন-২৩ ও নবনির্মিত রাজস্ব ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি।
রাজস্ব আদায়, নীতির সংস্কার ও আইএমএফের ঋণ সবই প্রয়োজন, কিন্তু এনবিআর এই তিন বিষয়ের সমন্বয় কীভাবে করবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজস্ব সংস্কার একটা চলমান প্রক্রিয়া, প্রতিবছরের বাজেটে আয়কর, ভ্যাট এবং কাস্টমস তিন ক্ষেত্রেই কিছু সংস্কার করা হয়।
এছাড়া আইএমএফের লোন পেলেও এগুলো সংস্কার করা হয়; আর লোন না পেলেও এগুলো সংস্কার করা হবে বলে জানান মাসুদ সাদিক। তিনি আরও বলেন, বেশি রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি বাজেটকে ব্যবসাবান্ধব করার জন্যই সংস্কার করা হয়।
সংস্কারগুলো অব্যাহত থাকবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আইএমএফ এসব নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো সুপারিশ করেনি। আমরা যে কাজগুলো করছি; সেগুলোই আমাদের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে মনে করিয়ে দিয়েছে সংগঠনটি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এনবিআরের টিম এগিয়ে নিতে আরও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। এতে করদাতাদের সুবিধার পাশাপাশি ট্রেড ফেন্ডলিনেসও বাড়বে।’ এটি আরও স্বচ্ছ হবে ও অডিট কাজে আরও সহযোগিতা মিলবে বলেও আশা প্রকাশ করেন মাসুদ সাদিক।
এদিকে বন্ডের অটোমেশন এবং কাস্টমসের অটোমেশন সংস্কার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘অটোমেশন কখনো শেষ হবে না; এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। পাঁচ বছর আগে যেখানে পৌঁছালে মনে হতো এখানেই শেষ, কিন্তু তা না- আবার নতুন প্রযুক্তি আসছে।’
এছাড়া আরও আধুনিক সফটওয়ার আসছে ও অফিসাররা আরও প্রশিক্ষিত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, চলমান প্রকল্পটি সময় বাড়ানোর প্রয়োজন না হলে চলতি বছরের ডিসেম্বরে শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বন্ডের অটোমেশন শুরু হয়েছে দেড় বছর আগে। এটি সম্পন্ন হলে বন্ডের অপব্যবহার ও মেন্যুয়াল সিস্টেমের সমস্যার অভিযোগ দূর হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এছাড়া এটিই শেষ না জানিয়ে মাসুদ সাদিক বলেন, রাজস্ব আদায়ের জন্য কোন পদ্ধতি আধুনিকায়নের প্রয়োজন হলে সেটি করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৩৬:৫৭ ১৯৭ বার পঠিত