ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য প্রয়োজন স্মার্ট মানুষ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশকে প্রযুক্তি ধারণ করার জায়গায় উপনীত করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট জাতি, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট সমাজ গঠনে চলমান সংগ্রাম এগিয়ে নেওয়ার বিকল্প নেই।
মোস্তাফা জব্বার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি প্রযুক্তির দক্ষতা অর্জনে নতুন প্রজন্মেও তরুণ-তরুণীদের অনুপ্রাণিত করতে যুবসমাজসহ সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী শনিবার রাতে রাজধানীর কাকরাইলস্থ আইডিইবি ভবন মিলনায়তনে বৃহত্তর ময়মনসিংহ যুব সমিতির ৩৬তম বর্ষ উদযাপন ও অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ যুব সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মোতাসিম বিল্লাহ ফারুকীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান ও উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জেবুন্নেছা করিম বক্তৃতা করেন।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন,‘পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে আমাদের সামনে এগুনোর একমাত্র পথ হচ্ছে এখানকার তরুণ জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল মানব সম্পদ হিসেবে তৈরি করা।’ তরুণদের উপযুক্ত মানব সম্পদ হিসেবে তৈরি করতে যুব সমাজকে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণে এগিয়ে আসতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল দক্ষতা অর্জণের মাধ্যমে তরুণ জনগোষ্ঠীর আত্ম কর্মসংস্থানের যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা কাজে লাগাতে হবে। ইতোমধ্যে ডিজিটাল সংযুক্তির সুযোগ কাজে লাগিয়ে মধুপুরের পাহাড় থেকে শুরু করে হাওরের ছেলে-মেয়েরা ঘরে বসে বৈদেশিক মূদ্রা আয় করছে।
মন্ত্রী বলেন, কৃষিতে প্রচলিত যুগের অবসান হয়েছে। আগামী দিনের কৃষি হবে প্রযুক্তি নির্ভর। প্রচলিত কৃষককেও এখন স্মার্ট ফোনের কার্যকর ব্যবহার জানতে হবে । আইওটি ডিভাইস ব্যবহার করে কী ভাবে অল্প খরচে মাছ চাষে এবং কৃষিতে অধিক লাভবান হওয়া যায় তা জানতে হবে।
তিনি এ সময় উল্লেখ করেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহ কৃষি প্রধান একটি অঞ্চল। এ অঞ্চলে শিল্প কলকারখানা একেবারেই ছিল না বললেই চলে। এই অঞ্চলে বিশেষ করে নেত্রকোণা ও কিশোরগঞ্জে রয়েছে বিস্তীর্ণ হাওর। দেশের মোট ধান উৎপাদনের শতকরা ২৫ ভাগ এই অঞ্চলে উৎপাদিত হয়। ধান কাটা ও মাড়াই কাজে যন্ত্রের ব্যবহার এখন মানুষের শ্রমকে সহজ করে দিয়েছে। এখানে ধানকল গড়ে উঠেনি। হাওরের পানি সম্পদকে কাজে লাগাতে মৎস্য চাষের পরিকল্পিত উদ্যোগ থাকা দরকার বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
মোস্তাফা জব্বার আশা প্রকাশ করেন, প্রযুক্তি শিক্ষায় তরুণ সমাজকে অনুপ্রাণিত করতে প্রযুক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনে যুবসমিতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সরকার ডিজিটাল সংযুক্তির মহাসড়ক তৈরি করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্ব অর্থনীতিতে ৩৫তম শক্তিশালী দেশে উপনীত হয়েছে। প্রযুক্তির সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে উঠবেই।’
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫৯:০৪ ২০৩ বার পঠিত