তুরস্কে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। ৩০ জন আহত হয়েছেন। একই ভূমিকম্পের আঘাতে সিরিয়ায় নিহত হয়েছেন আরও ৮ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে দুই দেশেরই স্থানীয় প্রশাসন। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
স্থানীয় সময় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পটি তুরস্কের গাজিয়ান্তেপ প্রদেশের নূরদাগি শহরের পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানে। অঞ্চলটি সিরিয়ার সীমান্তবর্তী।
গাজিয়ান্তেপ ও ওসমানিয়া অঞ্চলের স্থানীয় প্রশাসনের দুই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, নিহত ১৫ জনের মধ্যে ৫ জন ওসমানিয়া প্রদেশের। বাকি ১০ জন নিহত হয়েছেন সানলিউরফা প্রদেশে। প্রদেশটির গভর্নর জানিয়েছেন, নিহতরা সবাই ভবনের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকা পড়েছিলেন।
এদিকে, তুরস্কের সীমান্তবর্তী উত্তর সিরিয়ার আল-বাব এবং আজাজ অঞ্চলে অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছেন। বার্তা সংস্থা এএফপিকে স্থানীয় একটি হাসপাতালের কর্মীরা এই তথ্য জানিয়েছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই অঞ্চলেও হতাহতের সংখ্যা ব্যাপক বাড়তে পারে। হতাহতদের উদ্ধারে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।
গৃহযুদ্ধের কারণে উত্তর সিরিয়ার এই অঞ্চলটিতে আগে থেকেই কয়েক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত। এই ভূমিকম্প নতুন করে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়াবে বলে আশঙ্কা স্থানীয় প্রশাসনের।
তুরস্ক পৃথিবীর সক্রিয় ভূমিকম্প ফল্টলাইনগুলোর একটির ওপর অবস্থিত। দেশটিতে প্রায়ই ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়। ১৯৯৯ সালের মারাত্মক শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে দেশটিতে অন্তত ১৭ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল। সেবার ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে দেশটির ইস্তাম্বুলেও অন্তত ১ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৩৮:২০ ১৬৬ বার পঠিত