সুনামগঞ্জের হাওড়ে ১২৮টি বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করতে পারেনি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি। কমিটির অভিযোগ, অগ্রিম টাকা না পাওয়ায় বাঁধের কাজ শুরু করা যায়নি। ফলে যথাসময়ে বাঁধ নির্মাণকাজ শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা।
জানা গেছে, তাহিরপুর উপজেলার পাটলাই নদীতীরবর্তী মাটিয়ান হাওড়ের আনন্দনগর গ্রাম থেকে ছিলাইন তাহিরপুর ১২ কিলোমিটার পর্যন্ত বাঁধে এক তোলা মাটিও পড়েনি। পিআইসি প্রথম কিস্তির অগ্রিম টাকা না পাওয়ায় বাঁধে মাটি ফেলা শুরু হয়নি। মাটিয়ান হাওড়ের ৫৬টি পিআইসির মধ্যে ২৩, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮নং প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি প্রথম কিস্তির টাকা না পাওয়ায় বাঁধে মাটি ফেলার কাজ শুরু করতে পারেনি। টাকার অভাবে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যরা বাঁধে এস্কেভেটর, ডাম্পট্রাক ট্রলিসহ প্রয়োজনীয় মেশিনারিজ বাঁধে নিয়ে আসলেও এসব মেশিন ৭ দিন ধরে বসে আছ। জ্বালানি খরচের টাকা দেয়ারও সামর্থ্য না থাকায় এমনটা হয়েছে। অথচ দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে হাওরে ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণের সময়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যমতে, চলতি বছর খরচা হাওড়, দেখার , শনির, ছায়ার, হালির, মাটিয়ানসহ ছোট-বড় ৪৩টি হাওড়ে ২০৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এক হাজার ৭৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে ৭৪৬ কিলোমিটার ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ হবে। এ জন্য প্রথম কিস্তির টাকা বাবদ মাত্র ২৫ কোটি টাকা ছাড় দিয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এত অল্প পরিমাণ টাকা ছাড় দেয়ায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিগুলো অর্থ সংকটে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, আগামী সপ্তাহে বকেয়া টাকা দেয়া হবে।
২০২২ সালের ১৫ ডিসেম্বর খরচার হাওরে প্রথম বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। পিআইসি নীতিমালা অনুযায়ী ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৪১:৪২ ১৮৫ বার পঠিত