ইসমাইল হোসেন জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে লাল মাহমুদ নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার ভাতা কার্ড করে দেওয়ার নামে দেড় লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎদের অভিযোগ তুলেছেন মহাদান ইউনিয়নের সেঙ্গুয়া, রঘুনাথপুর ও বাশঁবাড়ী গ্রামের
বেশকিছু অসহায় ভুক্তভোগী পরিবার।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের সেঙ্গুয়া গ্রামের ভুলা শেখের ছেলে লাল মাহমুদ। সে পেশায় একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। গত ২ বছর পূর্বে সে মহাদান ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ও শিশু ভাতার কার্ড করে দেওয়ার নামে সেঙ্গুয়া, রঘুনাথপুর ও বাশঁবাড়ী গ্রামে প্রায় ২০/২৫ জন অসহায় নারী-পুরুষের কাছ থেকে জনপ্রতি ১০ হতে ৫ হাজার করে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়।
টাকা নেয়ার পর সবার মনে বিশ্বাস অর্জন করতে সবাইকে একটি করে নতুন সিমকার্ড কিনে দিয়ে নগদের একাউন্ট খুলে দেন লাল মাহমুদ এবং প্রত্যেককে আশান্বিত করেন পর্যায়ক্রমে মোবাইলে টাকা আসবে। কিন্তু দু-বছর পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত কাউকে একটি ভাতাকার্ড করে দিতে পারেনি প্রতারক লাল মাহমুদ এবং কারোর মোবাইলে একটি টাকাও আসেনি বলে তারা অভিযোগ করেন।
এছাড়াও লাল মাহমুদ কে ভাতাকার্ডের কথা বলতে গেলে সে নানা তালবাহানা করে পাশ কাটিয়ে যায় এবং অনেকের সাথে অশালীন আচরণ সহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন বলে ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা অভিযোগ করেন।
এছাড়াও ভুক্তভোগীরা জানান, দীর্ঘদিন প্রতারক লাল মাহমুদের পিছনে ঘুরে কোন কার্ড বা টাকা ফেরত না পেয়ে অবশেষে তারা গত বৃহস্পতিবার(২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সরিষাবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত লাল মাহমুদ বলেন, ‘টাকা নিয়েছি কিন্তু আমি একা নেইনি। কিছু টাকা তাদেরকে ফেরত দিয়েছে ,আর কিছু টাকা পাবে, সেটাও দিয়ে দিবো।
এ ব্যাপারের মহাদান ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম আনিছুর রহমান জুয়েল বলেন, “লাল মাহমুদ’কে আমি সঠিক ভাবে চিনি না। যদি সে ভাতাকার্ড করে দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে থাকে, তাহলে তার শাস্তি হওয়া উচিৎ। মহাদান ইউনিয়ন থেকে টাকার বিনিময়ে কোন ভাতার কার্ড করে দেওয়া হয় না।”
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক(এস আই) মোহাম্মদ মুর্শিদ আলম বলেন, অভিযোগ আসার পর তদন্তের জন্য লাল মাহমুদের বাড়ীতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৩৯:০০ ২৭০ বার পঠিত