ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিমান বাহিনী প্রথমবারের মতো ভূগর্ভস্থ বিমান বাহিনীর ঘাঁটি উন্মোচন করেছে, যা দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত যুদ্ধবিমান সংরক্ষণ করতে সক্ষম। ভূগর্ভস্থ এই বিমান ঘাঁটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ঈগল-৪৪’। বিমান ঘাঁটি উদ্বোধনের সময় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ বাকেরির পাশাপাশি সেনাবাহিনীর প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল মুসাভিও উপস্থিত ছিলেন।
দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ দ্বারা প্রকাশিত বিমান ঘাঁটির ছবিতে বিমান বাহিনীর কর্মী এবং ইউএস-নির্মিত এফ-৪ই ফ্যান্টম ২ ফাইটার বোমারু বিমানগুলিকে দেখা গেছে। ঘাঁটিটির সঠিক অবস্থান প্রকাশ করা হয়নি, তবে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলেছে যে এটি ‘পাহাড়ের নীচে শত শত মিটার গভীরতায়’ ছিল।
বিমান ঘাঁটিতে থাকা জেটগুলি দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত হওয়ার বিষয়ে ইরানি মিডিয়ার জোর দৃঢ়ভাবে ইঙ্গিত করে যে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র আক্রমণের ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে তার পুরানো যুদ্ধবিমানগুলি ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরির উদ্ধৃতি দিয়ে আউটলেটটি জানিয়েছে, ‘ইসরায়েলসহ আমাদের শত্রুদের কাছ থেকে ইরানের ওপর যে কোনও আক্রমণ ঈগল ৪৪ সহ আমাদের অনেক বিমান বাহিনী ঘাঁটি থেকে প্রতিক্রিয়া দেখতে পাবে।’
আল-জাজিরার মতে, দুই সপ্তাহেরও কম সময় আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের যৌথ মহড়ার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের বিমান সামরিক সক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য উন্মোচন করা হয়েছিল। আউটলেট আরও বলেছে, ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে ইরানকে একটি বার্তা পাঠানোর উদ্দেশ্যে মহড়ায় বিমান, নৌযান, সেনা এবং আর্টিলারি সিস্টেম ব্যবহৃত হবে।
টুইটারে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন দিন ও রাতে ড্রিল মিশন পরিচালনার জন্য ফাইটার জেট উড্ডয়নের ভিডিও ক্লিপ দেখিয়েছে।
রয়টার্সের মতে, ইরানের সেনাবাহিনী গত বছরের মে মাসে আরেকটি ভূগর্ভস্থ ঘাঁটি সম্পর্কে বিশদ বিবরণ দিয়েছে, যেখানে ড্রোন রয়েছে, কারণ দেশটি আঞ্চলিক শত্রু ইসরায়েলের সম্ভাব্য বিমান হামলা থেকে সামরিক সম্পদ রক্ষা করতে চায়।
বলা হচ্ছে, ইরানের বিমান বাহিনী এ পর্যন্ত এ ধরণের বেশ কয়েকটি ভূগর্ভস্থ বিমান ঘাঁটি নির্মাণ করেছে। তবে এই প্রথম এ ধরণের বিমান ঘাঁটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদর্শন করা হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:৫৮:৩১ ১৭৬ বার পঠিত