চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় রাজি থাকলেও কোনো সংঘাত চায় না যুক্তরাষ্ট্র। এমন মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে দ্বিধাবিভক্ত কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে জাতির উদ্দেশে দ্বিতীয় স্টেট অব দ্য ইউনিয়নে ভাষণ দেন তিনি। বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রতিনিধি পরিষদকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান জো বাইডেন।
শুরুতেই সংসদে বিরোধীদল রিপাবলিকান পার্টির স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি ভাষণের জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নাম ঘোষণা করেন। গত নভেম্বরে মধ্যবর্তী নির্বাচনে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের নিয়ন্ত্রণ রিপাবলিকানদের হাতে চলে যাওয়ার পর কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে এটিই জো বাইডেনের প্রথম ভাষণ।
প্রেসিডেন্ট তার ভাষণের শুরুতেই ১১৮তম কংগ্রেস ও নব নির্বাচিত স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, কারও সুনাম নষ্ট নয় বরং একসঙ্গে কাজ করতে চাই। যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। তবে চীন যদি যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে কড়া জবাব দেয়া হবে।
ভাষণের বড় অংশজুড়ে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক, যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে চীনা গোয়েন্দা বেলুন ও বিরোধীদল রিপাবলিকানদের ভূমিকা নিয়ে কথা বলেন বাইডেন। টানা ৭২ মিনিটের ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রকে সুসংহত এবং দেশের অর্থনীতিকে আবারও চাঙা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
চীন প্রসঙ্গ ছাড়াও বাইডেন দেশের অভ্যন্তরীণ নানা বিষয় যেমন- বন্দুক সহিংসতা, অভিবাসন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্যসেবা, পুলিশ সংস্কার ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তার সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বিচারে গুলি প্রসঙ্গে তিনি অ্যাসল্ট রাইফেল নিষিদ্ধের আহ্বান জানান।
যৌথ অধিবেশনে ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস, সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি, কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের সরকারি দল ডেমোক্রেট পার্টির নেতা, কংগ্রেসম্যান হাকিম জেফরিস, সিনেটের মেজরিটি নেতা সিনেটর চাক শুমারসহ সরকার ও বিরোধীদলীয় কংগ্রেস সদস্যরা উপস্হিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২:২৬:৩১ ১৬৩ বার পঠিত