ডালের আমদানি নির্ভরতা কমাতে কর্মপরিকল্পনা নেয়া হবে - কৃষিসচিব

প্রথম পাতা » কৃষি ও বাণিজ্য » ডালের আমদানি নির্ভরতা কমাতে কর্মপরিকল্পনা নেয়া হবে - কৃষিসচিব
শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩



ডালের আমদানি নির্ভরতা কমাতে কর্মপরিকল্পনা নেয়া হবে - কৃষিসচিব

কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেছেন, ছোট্ট দেশে থেকে ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের যোগানের জন্য বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে প্রতিযোগিতা করতে হয়। ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য, এটির উৎপাদনে গুরুত্ব বেশি দিতে হয়। ধানের সাথে ডালসহ অন্যান্য ফসল প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ে। সেজন্য, আমরা ধানের উৎপাদন না কমিয়ে ডালের উৎপাদন বাড়াতে গুরুত্ব দিচ্ছি। তিনি বলেন, এ বছর যেমন আমরা ধানের উৎপাদন না কমিয়েই ২ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে সরিষা আবাদ বাড়াতে পেরেছি, তেমনি ডালের উৎপাদন বাড়াতেও সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। যাতে বছরে ১৩- ১৪ লাখ টন ডাল উৎপাদন করতে পারি, তাতে আমদানি নির্ভরতা অনেকটা হ্রাস পাবে।

আজ রাজধানীতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে বিশ্ব ডাল দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিসচিব এসব কথা বলেন।

দেশে প্রথমবারের মতো ডাল দিবস পালন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এই আলোচনা এবং র‌্যালি ও ডালের তৈরি খাবারের প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিলো টেকসই আগামীর জন্য ডাল।

অনুষ্ঠানে কৃষিসচিব বলেন, বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির কারণে বিগত ১৪ বছরে ডালের উৎপাদন প্রায় চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে বর্তমানে ডাল উৎপাদন হয় প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন। কিন্তু ডালের চাহিদা বছরে প্রায় ২৬ লাখ মেট্রিক টন। ফলে প্রতি বছর প্রায় ১৩ থেকে ১৪ লাখ মেট্রিক টন ডাল আমদানি করতে হয়। এতে প্রায় ৬ থেকে ৭ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়।

সেমিনারে আলোচকেরা বলেন, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার পুষ্টি নিরাপত্তার জন্য উচ্চফলনশীল জাতের ডাল ফসল উদ্ভাবন, সম্প্রসারণ ও ব্যবহার বাড়ানো প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমান শস্য বিন্যাসে ডাল ফসলের আবাদ সম্প্রসারিত করার সুযোগ সীমিত। তবে বৃহত্তর বরেন্দ্র অঞ্চল, চরাঞ্চল, পাহাড়ি অঞ্চল, উপকূলীয় অঞ্চল, রেল সড়ক ও রাস্তার ধারে এবং বসতবাড়িতে ডাল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এছাড়া ডাল ফসলকে মিশ্র ফসল ও আত্মফসল হিসেবে চাষের মাধ্যমেও ডালের উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব।

সেমিনারে বারির ডাল গবেষণা কেন্দ্র জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন গড়ে ৪৫ গ্রাম ডালজাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন। দেশে মাথাপিছু প্রাপ্যতা ২৮ গ্রাম, আর মানুষ মাথাপিছু মাত্র ১৭ গ্রাম ডাল খেয়ে থাকে। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।

­­ বারির মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকারের সভাপতিত্বে বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোঃ বখতিয়ার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, সদস্য পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, ডাল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক মোঃ মহিউদ্দিন, সাবেক পরিচালক তপন কুমার দে, এসিআইএআরের ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর এমজি নিয়োগী, এসিআই এগ্রোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এফএইচ আনসারী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮:৩৬:৫৬   ১৯৬ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

কৃষি ও বাণিজ্য’র আরও খবর


বাংলাদেশকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার দিচ্ছে রাশিয়া
১৩৬৬ কোটি টাকায় সিঙ্গাপুর থেকে দুই কার্গো এলএনজি কিনবে সরকার
দুর্নীতি বন্ধ হলে দেশ এগিয়ে যাবে: কৃষি উপদেষ্টা
মোংলা ইপিজেডে ঝুট ভিত্তিক রিসাইক্লিংয়ে বিনিয়োগ করবে চীনা কোম্পানি
পাটচাষ কীভাবে লাভজনক করা যায়, সে চেষ্টা করছি: কৃষি উপদেষ্টা
সিন্ডিকেট ভাঙতে কৃষিবাজার তৈরি করবে সরকার: আসিফ মাহমুদ
বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতায় ফুলেফেঁপে উঠছে ভারতের তৈরি পোশাক খাত
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও বিশেষ দূতের সাভার-আশুলিয়ায় পোশাক শিল্প পরিদর্শন
ডিমের বাজারে স্বস্তি, চড়া মুরগির দাম
আদমজী ইপিজেডে ৫.৮৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে চীনা কোম্পানি

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ