অত্যধিক মানসিক চাপ, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার অভ্যাস ও দূষণের কারণে চুলের ১২টা বেজে যায়। এতে ঝরে পড়ছে চুল। তার ওপর রয়েছে খুশকির সমস্যা। কিন্তু এ সমস্যার সমাধান করতে পারে লবঙ্গ!
চুল হলো নারীর সৌন্দর্য। শুধু নারীরই নয়, পুরুষের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ। আর এই চুল পড়ার সমস্যা নিয়ে কম বেশি সবাই ভুক্তভোগী। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেয়ার পাশাপাশি চুলের স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দেয়া প্রয়োজন। যদি চুলকে আগের তুলনায় শক্তপোক্ত করতে চান তাহলে ঘরোয়া টোটকা যে সেরা উপায়, তা একবাক্যে স্বীকার করেন বিশেষজ্ঞরাও।
নানা কারণে চুল পড়া ও খুশকির সমস্যা হতে পারে। তবে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে! লাইফস্টাইল বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই ডটকমের এক প্রতিবেদনে এমন ৬টি পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে। চলুন জেনে নেয়া যাক বিস্তারিতভাবে।
লবঙ্গের সঙ্গে মধু
চুলের জন্য মধু খুবই উপকারী। মধু চুলের জেল্লা ফেরায় এবং চুল পড়া ঠেকাতে পারে। এ জন্য ২ টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে পরিমাণ মতো লবঙ্গ পানি মিশিয়ে চুলে লাগান। প্রায় ১০ মিনিট এভাবেই রেখে দিন। তারপর মাথা ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার এই মিশ্রণটি লাগালেই ফল পাবেন!
লবঙ্গ ও অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরায় ভিটামিন এ, সি, ই এবং ফেনোলিক যৌগ রয়েছে। এটি চুলে পুষ্টি জোগায় এবং খুশকি প্রতিরোধ করে। এ জন্য ২ টেবিল চামচ লবঙ্গ পানির সঙ্গে ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। তারপর পুরো চুলে লাগিয়ে ৫ মিনিট রেখে দিন।
লবঙ্গ ও মেথি
মেথি হেয়ার কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। খুশকির চিকিৎসায়ও মেথি দারুণ কার্যকর। মেথি বীজ সারা রাত মিনারেল ওয়াটারে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে মেথির পানি ছেঁকে লবঙ্গ পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিন। একটি সসপ্যানে পানি ফুটিয়ে নিন ভালো করে। এবার ফুটন্ত পানিতে কয়েকটি লবঙ্গ দিয়ে গ্যাস বন্ধ করে নিন। এক ঘণ্টা ঢেকে রাখুন। তারপর পানি ছেঁকে স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন।
লবঙ্গের সঙ্গে রিঠা গুঁড়া
চুলের যত্ন নেয়ার জন্য প্রাকৃতিক সাবান হিসেবে রিঠার ব্যবহার বেশ প্রাচীন। এটি স্ক্যাল্প পরিষ্কার করে এবং ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। ৩ থেকে ৪ টেবিল চামচ লবঙ্গ পানির সঙ্গে ২ টেবিল চামচ রিঠা গুঁড়া মিশিয়ে স্ক্যাল্পে এবং চুলে লাগান। কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করার পর আরও ৫ মিনিট রেখে দিন। তারপর মাথা ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার এই মিশ্রণটি লাগান। দারুণ ফল পাবেন!
লবঙ্গ, অ্যাভোকাডো ও তেল
অ্যাভোকাডো ভিটামিন ই সমৃদ্ধ। এটি চুল পড়া কমায়। রোজমেরি তেল অ্যান্ড্রোজেনেটিক অ্যালোপেসিয়ার চিকিৎসায় কার্যকর। একটা পাকা অ্যাভোকাডো ম্যাশ করে নিন। তার সঙ্গে ২ টেবিল চামচ লবঙ্গ পানি এবং কয়েক ফোঁটা রোজমেরি এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন। পুরো চুলে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন। আধ ঘণ্টা পর মাথা ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১ থেকে ২ বার এই হেয়ার মাস্ক লাগান। হাতেনাতে মিলবে ফল!
লবঙ্গ, জবা ফুল ও টক দই
জবা ফুল চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং চুল মজবুত করে। দইও চুল ভালো রাখে। কয়েকটি জবা পাতা, কয়েকটি জবা ফুলের পাপড়ি, ২ টেবিল চামচ টক দই এবং ২ টেবিল চামচ লবঙ্গ পানি ভালো করে মেশান। মাথার ত্বকে এবং পুরো চুলে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। তারপর মাথা ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১ থেকে ২ বার এই হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৫০:০২ ২৪৭ বার পঠিত