মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে শাহবাগে জড়ো হতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। ‘আমরা ন্যায় বিচার চাই! আমরা মানবতার পক্ষে, ন্যায়ের পক্ষে!’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ১৯৭১, ’৭৫, সামরিক শাসনামল, ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা, ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার চেয়ে বক্তব্য দেন ভুক্তভোগী ও তাদের স্বজনরা।
অনতিবিলম্বে জেলহত্যা, মুক্তিযোদ্ধা হত্যা ও পরবর্তীকালে অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে মানুষ হত্যার বিচারের উদ্দেশে কমিশন গঠন করতে সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা। তারা বলেন, আমরা এর দ্রুত বিচার চাই এবং জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর ফাঁসি দাবি করছি।
বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের মানবাধিকার লঙ্ঘন, ‘৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা, ১৯৭৭ সালে অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা, জাতীয় চার নেতাকে হত্যা, প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশে গ্রেনেড হামলা হয়েছে। কোথায় মানবাধিকার? এসব ঘটনার দ্রুত বিচার চাই।
বক্তারা আরও বলেন, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সালে অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে অনেক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। যারা এসব মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, তারাই আজ জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। দেশে তাদের রাজনীতি বন্ধ চাই। তাদের বিচার চাই।
সমাবেশে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আড়াই মাসের মাথায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আবারও আঘাত হানা হয়। সব সভ্য দেশের আইন উপেক্ষা করে জিয়াউর রহমানের নির্দেশে রাতে জেলখানায় হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। সেখানে জাতির শ্রেষ্ঠ চার সন্তানকে হত্যা করা হয়। তাদের মধ্যে এ এইচ এম কামারুজ্জামান আমার বাবা।’
খায়রুজ্জামান লিটন আরও বলেন, ‘বিএনপি ও জামায়াতের কিছু হলেই তথাকথিত অনেক সুশীল সেখানে মানবাধিকার খুঁজতে শুরু করেন। জিয়াউর রহমান পেছন থেকে অনেক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছেন। তখন মানবাধিকার কোথায় ছিল? যারা মানবাধিকারের ব্যবসা করেন তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, সারা দেশে এতগুলো ঘটনা ঘটার পর ওইসব তথাকথিত সুশীলদের সমর্থন না পাওয়ায় দেশে এত ঘটনা ঘটে গেছে।’
বাংলাদেশ সময়: ১৪:০৪:৩২ ১৫৭ বার পঠিত #মানবাধিকার #লঙ্ঘন