সরিষাবাড়ীতে প্রশাসনের অব্যবস্থাপনায় শহীদ মিনারে জুতা নিয়ে দৌড়াদৌড়ি ও তোড়া নিয়ে কাড়াকাড়ি

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » সরিষাবাড়ীতে প্রশাসনের অব্যবস্থাপনায় শহীদ মিনারে জুতা নিয়ে দৌড়াদৌড়ি ও তোড়া নিয়ে কাড়াকাড়ি
মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩



সরিষাবাড়ীতে প্রশাসনের অব্যবস্থাপনায় শহীদ মিনারে জুতা নিয়ে দৌড়াদৌড়ি ও তোড়া নিয়ে কাড়াকাড়ি

ইসমাইল হোসেন, জামালপুর জেলা প্রতিনিধি : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে উপজেলা প্রশাসনের অব্যবস্থাপনার কারণে শিশুরা জুতা পায়ে শহীদ মিনারে দৌড়াদৌড়ি ও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিয়ে কাড়াকাড়ির ঘটনা ঘটেছে। এ ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা সহ সর্বস্তরের মানুষের মনে চাপা ক্ষোভ ও সমালোচনার ঝড় বইছে।

আজ মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের জন্য সরকারি বেসরকারি ,রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের ব্যক্তিবর্গসহ সর্বস্তরের মানুষ প্রভাত ফেরীতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সকল ভাষা সৈনিক ও ভাষার শহীদদের প্রতি পৌর এলাকার গণ ময়দান মাঠে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।

শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে গণ ময়দান মাঠে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠান চলাকালীন সময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শহীদদের প্রতি অর্পিত শ্রদ্ধাঞ্জলি কাড়াকাড়ি করে নিয়ে যায়। এসময় বিষয়টি স্থানীয় সংসদ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধার নজরে পড়লে পুলিশ প্রশাসনকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বলেন। পরে শহীদ মিনার হতে তুলে নিয়ে যাওয়া শ্রদ্ধাঞ্জলিগুলো উদ্ধার করে শহীদ মিনারে রেখে দেওয়া হয়।

এদিকে সরিষাবাড়ী সরকারী পাইলট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আ: রউফ জানান, শুধু দু:খ প্রকাশ করলে কি হয়? নিশ্চয়ই কাউকে বা কোন কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া ছিল। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। শহীদ মিনার এবং স্মৃতি সৌধের পবিত্রতা রক্ষা করা একান্ত আবশ্যক। নইলে জাতি বিবেকের কাছে অপরাধী থাকবে।

এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মহব্বত কবীর জানান, শিশুরা ফুলের তোড়াগুলো কাড়াকাড়ি করে নিয়ে গেলে পুলিশ তৎক্ষণাৎ উদ্ধার করে শহীদ মিনারে রেখে দেন।

এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন পাঠান বলেন,শহীদ মিনার একটি আবেগী জায়গা এবং এর সাথে আমাদের রক্তের সম্পর্ক। শিশুরা ভুল করতেই পারে কিন্তু দায়িত্বের ব্যাপারে আমাদের আরও সচেতন হওয়া উচিত।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপমা ফারিসা জানান এটি একটি দুঃখজনক এবং বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হওয়ার সাথে সাথেই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮:৩৫:৩০   ১৮৯ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


ফ্যাসিবাদ বারবার ফিরে আসবে, সতর্ক থাকতে হবে: উপদেষ্টা আদিলুর
ইউক্রেনে কোন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা, জানালেন পুতিন
গাজায় ১৩ মাসে ৪৪ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরাইল!
ইতিহাসের এই দিনে
আজকের রাশিফল
আল কোরআন ও আল হাদিস
বিএনপির নামে কেউ চাঁদা নিতে আসলে বেঁধে রাখবেন: সাখাওয়াত
কপ২৯ সম্মেলনে অনুদানভিত্তিক অর্থ বরাদ্দের আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার
‘মুক্ত খালেদা জিয়া’ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের অর্জন : নাহিদ ইসলাম
বাংলাদেশ-ভারত আলোচনায় হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়টি উত্থাপন করা হতে পারে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ