ঢেলে সাজানো হচ্ছে মাতারবাড়ি, চট্টগ্রাম বন্দর ও বহির্নোঙরের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ইতোমধ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে জমা হয়েছে বিদেশি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রাথমিক প্রতিবেদন। যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত হলেই নিশ্ছিদ্র করা হবে দুটি বন্দরসহ ৪২ নটিক্যাল মাইল সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরের পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরের চট্টগ্রাম উপকূল অংশে সবসময় ১০০টির বেশি মাদার ভ্যাসেল অবস্থান করে। এর মধ্যে কিছু জাহাজ যেমন বন্দরের প্রধান জেটিতে প্রবেশের অপেক্ষায় থাকে, তেমনি অনেক জাহাজ বহির্নোঙরেই অবস্থান নিয়ে লাইটারেজ জাহাজে পণ্য খালাস করে।
এতে জলদস্যুতা ঠেকাতে বিশাল এই সমুদ্রসীমায় দিনরাত ২৪ ঘণ্টা কড়া নজরদারির মধ্যে রাখতে হয়। বাণিজ্যিক এসব জাহাজে কোনো রকম নিরাপত্তার ঘাটতি হলে তার দায় বন্দরকেই নিতে হয়। এর জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক রাখতে নৌবাহিনী ও সেনাবাহিনী ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি সংস্থার সহায়তা নেয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, সমুদ্রসীমার মধ্যে কোস্টগার্ড জাহাজগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকে। এর বাইরে জাহাজগুলোর নিরপত্তার দায়িত্বে থাকে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
এ ছাড়া ২০২০ সালে চট্টগ্রাম বন্দর সীমানা ৪২ নটিক্যাল মাইলে উন্নীত করে। এর আগে মাত্র সাড়ে সাত নটিক্যাল মাইল সমুদ্রসীমা নিয়ে কাজ করত বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এক্ষেত্রে আগে ভেসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা ভিটিএমএস দিয়ে অন্তত ১৫ নটিক্যাল পর্যন্ত স্বয়ংক্রিয়ভাবে মনিটরিং করা যেত। তবে এখন সীমানা বাড়ার পাশাপাশি মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের কাজ শুরু হওয়ায় বেড়েছে নিরাপত্তা নিশ্চিতের তোড়জোড়। এ অবস্থায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানও।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, এ এলাকার নিরাপত্তার জন্য পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে সরকারের অনুমোদন পেলে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।
ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ব্যুরোর পাশাপাশি রিক্যাপের তালিকা অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে চট্টগ্রাম বন্দর ও বন্দরের বহির্নোঙরকে দস্যুতামুক্ত ঘোষণা করে। এদিকে গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে এ অঞ্চলে ছোটখাটো রশি চুরির অভিযোগ আসলেও জলদস্যুতা নেমে এসেছে শূন্যের কোঠায়।
বাংলাদেশ সময়: ১২:২০:০৯ ১৭০ বার পঠিত #জলদস্যুতা #জাহাজে