১৭টি আগ্রাসী প্রজাতির উদ্ভিদ চিহ্নিত : বনমন্ত্রী

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » ১৭টি আগ্রাসী প্রজাতির উদ্ভিদ চিহ্নিত : বনমন্ত্রী
বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩



১৭টি আগ্রাসী প্রজাতির উদ্ভিদ চিহ্নিত : পরিবেশ বনমন্ত্রী

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বন অধিদপ্তরের টেকসই বন ও জীবিকা প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়াম বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর ১৭টি বিদেশি আগ্রাসী উদ্ভিদ প্রজাতিকে চিহ্নিত করেছে। যার মধ্যে ৭টি হচ্ছে প্রধান।

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বন অধিদপ্তরে আয়োজিত ‘ডেভেলপিং বাংলাদেশ ন্যাশনাল রেড লিস্ট অফ প্লান্টস অ্যান্ড ডেভেলপিং ম্যানেজমেন্ট স্ট্রাটেজি অফ এলিয়েন স্পিসিজ অফ প্লান্টস ইন সিলেক্টেড প্রোটেক্টেড এরিয়াস’ শীর্ষক কর্মসূচির চূড়ান্ত কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এ কর্মসূচির আওতায় দেশের পাঁচটি রক্ষিত এলাকা যথা- হিমছড়ি, কাপ্তাই, মধুপুর জাতীয় উদ্যান; রেমা-কালেঙ্গা এবং সুন্দরবন পূর্ব বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের চিহ্নিত ভিনদেশি আগ্রাসী উদ্ভিদ প্রজাতিগুলোকে সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য ৫টি কৌশলগত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। এ ব্যবস্থাপনা কৌশল জাতীয় বন ও বনজ সম্পদ সংরক্ষণে এবং আমাদের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

শাহাব উদ্দিন বলেন, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ও আইইউসিএনের সহায়তায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ফলে পরিবেশগত, অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব স্থাপনকারী প্রজাতির বিপণন ও বাণিজ্য প্রতিরোধ, বাস্তুতন্ত্র থেকে এদের নির্মূল এবং বিস্তার রোধের মাধ্যমে এ সকল ভিনদেশি আগ্রাসী উদ্ভিদ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। তাছাড়া, প্রাথমিক শনাক্তকরণ, আমদানিকৃত উদ্ভিদ প্রজাতির জন্য স্ক্রিনিং ও কোয়ারেন্টাইন পদ্ধতির মতো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা সহজ হবে।

বনমন্ত্রী বলেন, কনভেনশন অন বায়োলজিক্যাল ডাইভারসিটির অন্যতম স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় বাংলাদেশ অঙ্গীকারবদ্ধ। তাই দেশের বিভিন্ন রক্ষিত এলাকায় ও বনাঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা দেশীয় প্রজাতির সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার, বাস্তুতন্ত্রের ধারা পরিবর্তন ও খাদ্য শৃঙ্খলকে ব্যাহত করার ক্ষমতাসম্পন্ন দেশের ৫১টি রক্ষিত এলাকাসহ দেশের এলাকার ভিনদেশি আগ্রাসী উদ্ভিদ প্রজাতি সম্পূর্ণরূপে চিহ্নিত করতে হবে। এদের সঠিক ব্যবস্থাপনা কৌশল প্রণয়নের মাধ্যমে দেশীয় উদ্ভিদ প্রজাতি ও বনাঞ্চল সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।

বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়ামের পরিচালক সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, সুফল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায়। এছাড়া প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন আইইউসিএন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রাকিবুল আমীন। কর্মশালায় অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামাল হোসেন হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান, কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান, মধুপুর জাতীয় উদ্যান, রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এবং সুন্দরবন পূর্ব বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের জন্য প্রণয়নকৃত ৫টি কৌশলগত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার চূড়ান্ত ফলাফল উপস্থাপন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪৫:৩১   ২০২ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন মূল আকর্ষণ : সুপ্রদীপ চাকমা
জামালপুরে মসজিদ নিয়ে কোন্দলে লাশ দাফনে বাধা, আতঙ্কে সমাজবাসী
‘তিন বছরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবতা দেখতে চাই’
কিছু রাজনৈতিক দল টাকার লো‌ভে আ.লীগকে ফিরিয়ে আনতে চাইছে
পদক্ষেপ জানিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ট্রাম্পকে চিঠি দেবেন ড. ইউনূস
বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ চত্বর পরিদর্শন করলেন প্রধান বিচারপতি
বাংলাদেশে ব্যবসা করার অনুমতি পেল স্টারলিংক
এসএসএফ এর সাবেক মহাপরিচালক মো.মজিবুর রহমানের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
সাতক্ষীরায় ভেজাল দুধ ও ঘিসহ আটক
মানবপাচারে জড়িতদের জবাবদিহির জন্য শক্তিশালী আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ