বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ৪র্থ অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। সকাল ১০টার দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার স্কোর ১৮৬ রেকর্ড করা হয়েছে। যার অর্থ হলো জনবহুল এ শহরের বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে।
আগের দিন শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ৭ম অবস্থানে উঠে এসেছিল ঢাকা। এদিন একিউআই-এ ঢাকার স্কোর ছিল ১৬৮। সেই তুলনায় রোববার ঢাকার বাতাস আরও অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুদূষণ পরিমাপকারী সংস্থা আইকিউ এয়ারের তথ্য বলছে, জানুয়ারি মাসে একদিনের জন্যও অস্বাস্থ্যকর অবস্থা থেকে নামেনি ঢাকার বায়ু। বরং বেশ কয়েকদিনই ঢাকার বায়ুমান ছিল চরম অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে। এর ধারাবাহিকতা চলছে ফেব্রুয়ারিতেও।
এদিকে ২৪৬ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। ১৮৯ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে দেশটির আরেক শহর মুম্বাই। এ ছাড়া ২৩৫ স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর দ্বিতীয় অবস্থানে আছে; আগের দিন একই সময়ে ৩১৯ একিউআই স্কোর নিয়ে দুর্যোগপূর্ণ অবস্থানে থেকে শীর্ষে ছিল শহরটি।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর। আর ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
এ অবস্থায় বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে। ফলে শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২ দশমিক ৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো: ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা। বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদফতরের মতে, বায়ুদূষণের কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৮০ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৪৫:৪২ ১৬০ বার পঠিত